কলকাতা লিগে মেজারার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে না মোহনবাগান সুপার জয়েন্ট। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এমনকি ডার্বিতেও দল নামায়নি মোহনবাগান। তাদের অভিযোগ বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ-কে ম্যাচের দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও, তা তারা মেনে নেননি। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ।
কেন ম্যাচ পেছানোর আবেদন?
ডুরান্ড কাপে মূল দলের একাধিক ফুটবলার থাকায় সবুজ-মেরুন শিবির চেয়েছিল, ডুরান্ড কাপ শেষ হওয়ার পর, কলকাতা লিগের বাকি ম্যাচ দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে আইএফএ-কে চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে অভিযোগ সেই দাবি মানা হয়নি। আর সেই কারণেই ম্যাচ বয়কটের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে মোহনবাগান। প্রসঙ্গত, ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে মোহনবাগান।
পক্ষপাতের অভিযোগ মোহনবাগানের
মোহনবাগান কর্তারা যদিও এর মধ্যে আইএফএ-এর চক্রান্ত দেখছেন। তাদের দাবি, আসলে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে সুপার সিক্সে যাওয়ার রাস্তা ফাঁকা করে দিতেই ম্যাচ পেছানোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আইএফএ-এর বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় পক্ষপাতের অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে সবুজ-মেরুন ক্লাবকে। তাই এটা নতুন নয়। আসলে, মোহনবাগানের মতো দল যদি কলকাতা লিগ থেকে সরে দাঁড়ায়, তবে স্পন্সর সমস্যায় ভুগতে পারে লিগের ভবিষ্যৎ। আর সেটা মাথায় রেখেই পাল্টা চাপের পথে সবুজ-মেরুন।
মোহনবাগান মাঠে হচ্ছে না লিগের ম্যাচ
এর আগে সমর্থকদের দাবি মেনে নিয়ে কলকাতা লিগের ম্যাচ মোহনবাগান মাঠে করার চেষ্টা চালিয়েছিল IFA। সেখানেও বাধা এসেছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। IFA চেয়েছিল ১৩ অগস্ট অর্থাৎ, আগামিকালের ম্যাচ মোহনবাগান মাঠে আয়োজন করতে। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল মোহনবাগান ও মেসারার্স ক্লাবের। অনুমতি চেয়ে সেনার কাছে আবেদনও করেছিল IFA। আবেদন পত্রে জানানো হয়েছিল, ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য মাঠের পাশে দুটি টাওয়ার বসাতে হবে, সেখানেই ক্যামেরা সেট করা হবে ম্যাচটা সম্প্রচারের জন্য। কিন্তু সেনাবাহিনীর থেকে অনুমতি না আসায় মোহনবাগান মাঠ থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেয়।
IFA-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচটা মোহনবাগান মাঠে আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। বদলে নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে হবে। এই ঘটনার ফলে হতাশ হলেন কলকাতার সমর্থকরা।