অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক অনেক বছর ধরেই বেশ খারাপ। এখনও সে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। আর সে কারণেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ইরানে খেলতে যাচ্ছে না। অস্ট্রেলীয় বিদেশিদের পাশাপাশি নিরাপত্তার কারণে ভারতীয় ফুটবলাররাও নাকি যেতে চাইছেন না ইরানে।
মঙ্গলবার সেপাহান এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে ইরান যাচ্ছে না মোহনবাগান। কিন্তু শুধু ফুটবলাররা কি রাজি নন? নাকি পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? প্রশ্ন উঠছে। কারণ শনিবার অনুশীলনে তাহলে কেন কোচ মোলিনা ম্যাচ সিচুয়েশনে দুটি আলাদা দল ভাগ করে একদিকে দলের ৬ বিদেশি আর অন্যদিকে শুধু ভারতীয় ফুটবলারদের রাখলেন? বিদেশিরা যে ইরান যেতে চাইছে না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। সেক্ষেত্রে শুধু ভারতীয়দের নিয়ে ইরান যেতে হতো সবুজ মেরুনকে। যেমনটা ২০২৩ সালের মুম্বই সিটি এফসি করেছিল নাসাজি মাজান্দারানের বিরুদ্ধে। কিন্তু এএফসিকে ইরান থেকে অন্যত্র ম্যাচ সরানোর দাবি জানিয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়ে বাগান ম্যানেজমেন্ট কি শুধুমাত্র ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়ে সেপাহানের মুখোমুখি হতে চাইলেন না? প্রশ্ন উঠছে...
অগত্যা শনিবার রাতের ফ্লাইট বুকিং ক্যান্সেল। বিকেলে অনুশীলন শেষে সিইও বিনয় চোপড়ার সঙ্গে কোচ এবং ভারতীয় ফুটবলারদের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক এবং সবশেষে সংবাদমাধ্যম-সমর্থকদের জন্য বার্তা যে ম্যানেজমেন্ট সব ব্যবস্থা করলে ও ফুটবলাররা বেঁকে বসায় গতবারের মতো এবারও ইরান যাত্রায় ইতি। বদলে এএফসির রোষানল থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি ক্যাস অর্থাৎ বিশ্ব ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে সবুজ মেরুন।
শুরু থেকেই এসিএল ২-কে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে এসেছে মোহনবাগান। জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়েনি তারা। সেভাবে ছুটি দেওয়া হয়নি অনুশীলনেও। এএফসির মঞ্চে ভালো কিছু করতে পারল তা দেশের ফুটবলেরই উন্নতি ঘটাবে এমন কথাও বারংবার শোনা গিয়েছে বাগান কর্তাদের মুখে। এসিএল টু-র ড্র এর পর শোনা গিয়ছিল ইরাজার ক্লাব বাগান ম্যানেজমেন্টকে আশ্বস্ত করেছে। ইরানের ব্যবস্থা নিয়ে। তাহলে হঠাৎই কেন এই ভোল পরিবর্তন? প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক নয় কি?