রবসন রবিনহো যে মোহনবাগানে সই করতে চলেছেন তা আগেই জানিয়েছিলাম আমরাঅবশেষে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টে চূড়ান্ত হয়ে গেল রবসন রবিনহোর নাম। সরকারি ঘোষণা না হলেও, রবিনহোকে যে এবার সবুজ-মেরুন জার্সি পরতে চলেছেন তা প্রায় নিশ্চিত। আসলে ইস্টবেঙ্গল টার্গেট আগেই ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছিল মোহনবাগান। ২৯ এপ্রিল bangla.aajtak.in-এ আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই সম্ভাবনার কথা।
গ্রেগ স্টুয়ার্টের জায়গায় তাঁকে নিয়ে আসা হবে বলে সূত্রের খবর। শুধু কোচের সম্মতি পেলেই সবুজ-মেরুন জার্সি পরতে পারেন রবসন রবিনহো। যা এখনও নেওয়া হয়নি। অস্কার ব্রুজোর প্রাক্তন ছাত্র পরের মরসুমেই গুরুর দলের গোলে বল ঢোকানোর চেষ্টা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। বসুন্ধরা ছাড়ার পরে নিজের দেশ ব্রাজিলে ফিরে আগুয়া সান্তার হয়ে ফুটবল খেলেছেন। তবে বারবার ফিরতে চেয়েছেন ভারতের উপমহাদেশে। অস্কার ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে আসার পরেই সেই সম্ভাবনা জোরাল হয়েছিল।
তবে সেই সময়ই নাকি প্রি কন্ট্র্যাক্ট সেরে ফেলে মোহনবাগান। গত মরসুমে তারা যেভাবে খেলছে তাতে যে কোনও ফুটবলারই এই দলে খেলতে চাইবেন। রবসনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শোনা গিয়েছিল, রবসন আরেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভার জায়গায় ইস্টবেঙ্গল দলে আসতে পারেন। তবে ক্লেইটন সুপার কাপের আগে ক্লাব ছেড়ে চলে গেলেও, রবিনহোকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে এখন যা পরিস্থিতি তাতে মোহনবাগানের সঙ্গেই চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন নেইমারের বিরুদ্ধে খেলা এই ফুটবলার।
বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে ২০২১ সালের পর থেকে ভুরি ভুরি গোল রয়েছে তাঁর। অর্থাৎ পজিটিভ বক্স স্ট্রাইকার বলতে যা বোঝায়। এএফসি কাপেও ভালো পারফরমেন্স ছিল। মোহনবাগানে যোগ দিলে গ্রেগ স্টুয়ার্টের অভাব অনেকটাই পূরন করতে হবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে। ফলে প্রত্যাশার চাপ অনেকটাই বেশি থাকবে। এখন দেখার সেই চাপ কীভাবে রবসন কাটিয়ে উঠে সবুজ-মেরুন জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করেন। তবে ইস্টবেঙ্গলের ডেরা থেকে আবারও ছোঁ মেরে আরও এক ফুটবলারকে তুলে নেওয়ার পথে মোহনবাগান। তা বলাই যায়।