ইস্টবেঙ্গলের তরুণ তারকা পিভি বিষ্ণুকে দলে নিচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট? চলতি মরসুমে ইতিমধ্যেই দ্বিমুকুট জিতে ফেলেছে মোহনবাগান। লিগ শিল্ড জয়ের পরে ISL কাপ জিতেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কলকাতার দলগুলির মধ্যে এই মরশুমে সবচেয়ে সফল শুভাশিস বসু- বিশাল কাইথরা। এখন সুপার কাপ জেতার ও ত্রিমুকুটের স্বপ্নে বিভোর মেরিনার্সরা।
ইস্টবেঙ্গল মরসুমের শেষের দিকে এসেও একেবারেই ছন্নছাড়া। চলতি মরসুমে কোনও টুর্নামেন্টেই সাফল্য পায়নি লাল-হলুদ ব্রিগেড। বুধবার ক্লেইটন সিলভার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে ক্লাবের। তারপরেই উঠে এল পিভি বিষ্ণুকে নিয়ে গুঞ্জন। আগামী বছর AFC চ্যালেঞ্জ লিগে খেলবে মোহনবাগান। আর এ বার সবুজ-মেরুনের নজরে নাকি ইস্টবেঙ্গলের উদীয়মান তারকা পিভি বিষ্ণু। চলতি মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও স্পটলাইটে ছিলেন বিষ্ণু। দিমিত্রি-ক্লেইটনদের মতো বিদেশিরা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে জ্বলে উঠেছেন বিষ্ণু। উইং দিয়ে তাঁর দুরন্ত গতিতে দৌড় এবং গোল করার দক্ষতা চাপে ফেলেছে বিপক্ষকে।
সেই বিষ্ণুকেই নাকি দলে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে মোহনবাগান, এমনটাই গুঞ্জন ময়দানে। সূত্রের খবর, বিষ্ণুর উপর বাকি দলগুলির নজর থাকলেও তাঁকে সই করানোর দৌড়ে নাকি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে মোহনবাগান।
তবে মোহনবাগান কর্তারা এই খবর শুনে আকাশ থেকে পড়েছেন। তাদের দাবি, ইস্টবেঙ্গল থেকে কোনও ফুটবলার নেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। মোহনবাগান কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এ ব্যাপারে আগেই নির্দেশ দিয়েছেন রিক্রুটারদের। তিনি চান না লাল-হলুদ থেকে কোনও ফুটবলার তাদের দলে যান। এখনও ১ বছরের চুক্তি বাকি আছে তাঁর। তাই নিয়ম অনুযায়ী, ক্লাব তাঁকে না ছাড়লে মরসুমের মাঝে অন্য কোনও দলে সই করতে পারবেন না বিষ্ণু।
পাশাপাশি সূত্রের খবর, পরের মরসুমে বিষ্ণুর চুক্তি আরও বাড়াতে পারে ইস্টবেঙ্গল। তবে এই তরুণ ফুটবলারের মোহনবাগান চলে যাওয়ার খবরে উদ্বেগ ছড়ায় সমর্থকদের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষ্ণুর খবর নিতে চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা।