মোহনবাগানচেন্নাইয়েন এফসি-র বিরুদ্ধে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। গোয়ার জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতল সবুজ-মেরুন। ম্যাচ হারলেও শুরুটা খ্রাপ করেনি বিদেশিহীন চেন্নাইয়েন। বারবার আক্রমণে উঠে এসেছে তারা। তবে গোলমুখ খুলতে পারেনি একেবারেই। প্রথমার্ধে ম্যকলরেনের গোল ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেনি মোহনবাগান।
২৫ মিনিটে ফারুখ চৌধুরীর শট বাঁচান বিশাল কাইত। ৩৬ মিনিটে জিতেশ্বরের শট সেভ করেন বিশাল। ফিরতি বলে ইরফানের শট বাইরে চলে যায়। ৩৮ মিনিটে গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। লিস্টনের ব্যাকপাস ধরেই গোলে শট করেন জেমি ম্যাকলরেন। তাঁর জোরালো শট গোলে ঢুকে যায়। প্রীতম কোটাল লিস্টনকে আটকে রাখলেও ম্যাকলরেনককে তাঁর দেওয়া বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাকহিলটাই বলে দেয় মোহনবাগান দলটা কোন জায়গায় আছে।
এরপর বেশ কয়েকবার ইরফান সুযোগ পেয়েছেন। সুযোগ এসেছে মোহনবাগানের সামনেও। তবে ব্যবধান প্রথমার্ধ অবধি বাড়েনি। ৬৭ মিনিটে ফের ম্যাকলরেন গোল। বাঁ দিক থেকে মনবীরের ক্রস পেয়ে সোজা গোলে শট করেন ম্যাকলরেন। জোড়া গোলে বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে যে জয়যাত্রা শুরু করেছিল মোহনবাগান তা অক্ষত থাকল গোয়ার মাটিতে। এই জয় আরও মধুর, যখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল আটকে গিয়েছে ডেম্পোর কাছে।
ডার্বির লড়াইয়ে এগিয়ে গেল মোহনবাগান
ডার্বির আগে যদিও তাঁর সহকারিকে পাঠিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। মোহনবাগানের ডিফেন্সে ফাঁক বলতে শুরুর সময়টাই। তবে সেই সময়টা কি কাজে লাগাতে পারবে ইস্টবেঙ্গল? সেটা কিন্তু বড় প্রশ্ন। অন্তত প্রথম ম্যাচের নিরিখে তা বলে দেওয়াই যায়। ডেম্পোর বিরুদ্ধে দেবজিৎ মজুমদারের ভুলে শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার বদলে পিছিয়ে পড়েছিল লাল-হলুদ। হিরোসিকে ডার্বিতে দেখে খুব খারাপ মনে না হলেও, সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে একেবারেই চোখে পড়েনি। ভরসা সেই মিগুয়েল, নাওরেম মহেশরাই। দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানি স্ট্রাইকারকে দিয়ে শুরু করবেন কিনা সেটা বলা মুশকিল। কারণ এবার ইস্টবেঙ্গলকে সব ম্যাচ জিততে হবে।