আইএফএ শিল্ডের প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় পেয়ে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ৯০ মিনিট সমর্থকদের বিক্ষোভ চলল। তবে তার সঙ্গেই ৫-১ ব্যবধানে জয় পেল সবুজ-মেরুন। জোড়া গোল রড্রিগেজের। দূরন্ত রবসন। ডুরান্ড ও এসিএল টুর ব্যর্থতা কাটিয়ে দারুণ ছন্দে মোহনবাগান।
রবসন ও ম্যাকলরেনের যুগলবন্দিতে গোল পেতে পারত মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তবে সঠিক সময় গোলকিপার শিবিন রাজ বেরিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। ১১ মিনিটের মাথাতেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ডানদিক থেকে রবসন রবিনহোর কর্নার থেকে আলাবার্তো রড্রিগেজের হেডে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। দ্বিতীয় পোস্টে প্লেস করয়া এই হেড শিবিন রাজের নাগালের বাইরে ছিল।
প্রথম কোয়ার্টার শেষ হওয়ার পরেই আবার এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। অনিরুদ্ধ থাপা ও আপুইয়ার ভুল বোঝাবুঝিতে তা গোল হয়নি। তবে ২৬ মিনিটে সম্ভবত এ মরসুমের সেরা গোলটা করে ফেললেন জেমি ম্যাকলরেন। দূর থেকে আসা বল মাটিতে পড়তে না দিয়েই দুরন্ত ভলি অজি স্ট্রাইকারের। ডান পায়ে তাঁর ভলি সোজা গোলে ঢুকে যায়। শিবিন রাজের কিছুই করার ছিল না।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে রবসনের পাস থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন মনবীর। তাঁর শট শিবিন রাজের পায়ে লেগে বল বাইরে চলে যায়। ৪৭ মিনিটে ব্যবধান কমাতে পারত গোকুলাম। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শট নেন এমিল বেনি। তাঁর মাঝ বরাবর নেওয়া শট কোনও মতে সেভ করেন বিশাল কাইত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আপুইয়ার সেম সাইড গোলে ব্যবধান কমায় গোকুলাম কেরালা এফসি। কিছু করার ছিল না বিশাল কাইতের। তবে তাতে গোকুলামের তেমন কোনও লাভ হয়নি। আবার আলবার্তো রড্রিগেজের ফ্লিক হেডে ব্যবধান বাড়ান। রবসন রবিনহোর ক্রস দারুণ ব্যাকহেডে গোল করেন সবুজ-মেরুন স্টপার মাসুরের ভুলে ব্যবধান বাড়ায় হোসে মলিনার দল। ৫৪ মিনিটে রবসন আবার ব্যবধান বাড়ান। ম্যাকলনের পাস থেকে তাঁর ডান পায়ের শট প্রথম বারে লেগে ফিরে আসার সময়, শিবিনের পিঠে লেগে বল জালে জড়ায়। ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। ৭০ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল গোকুলামের সামনে। বল পোস্টে লেগে না বেরোলে আরও একটা গোল খেয়ে যেতে হত মোহনবাগানকে। তবে ৭৫ মিনিটে ফের গোল করেন জেমি ম্যাকলরেন। নতুন নামা অভিষেক মিতেই বাঁ পায়ের ক্রস পেয়ে ম্যাকলরেন বল জালে জড়িয়ে দেন।