কলকাতা লিগে দলের পুরনো সৈনিকের গোলেই আটকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ল সবুজ-মেরুন। ২৬ দিন পরে কলকাতা লিগে সুরুচি সঙ্ঘের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট হার বাঁচালো। তার কারণ সবুজ মেরুন প্রাক্তনী হাওকিপের গোল। ম্যাচের ফল ১-১।
মেঘলা বিকেলে বিবর্ন ফুটবল দেখা গেল নৈহাটি স্টেডিয়ামে। সুরুচির পক্ষে গোলদাতা হাওকিপ। মোহনবাগান সুপারজারান্টের পক্ষে গোল করেন তুষার বিশ্বকর্মা। ম্যাচের প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে দূরপাল্লার শটে অসাধারণ গোল হাওকিপের। দু'বছর আগেও হাওকিপ ছিলেন সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের উঠতি প্রতিভার তালিকায় উজ্বল নাম।
গত মরসুমেও হাওকিপ সবুজ মেরুন জার্সিতে ডেভলপমেন্ট লিগ খেলেছিলেন। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। কিন্তু এই মরসুমে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট তাদের ডেভলপমেন্ট দলেও হাওকিপকে রাখেনি। নিজেকে প্রমান করার লক্ষ্যে কলকাতা লিগকে বেছে নিয়েছেন হাওকিপ। এখনও পর্যন্ত তাঁর দল এই কঠিন লিগে অপরাজিত।
নৈহাটি স্টেডিয়ামের অসাধারণ গোল শুধু প্রাক্তন দলকে জবাব নয়,বৃষ্টি ভেজা বিকেলে বিবর্ণ ফুটবলে একমাত্র দৃষ্টিসুখ। এই মরসুমে রঞ্জন ভট্টাচার্যকে কোচ করে ময়দানের বেশ কিছু পোড়খাওয়া ফুটবলার নিয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে। ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকে পয়েন্ট কাড়ার পরে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকেও রুখে দিল সুরুচি।
শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় মোহনবাগান
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে তুষার বিশ্বকর্মার গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কোনও সন্দেহ নেই সুরুচি জয় মাঠ ফেলে এল। পোষ্ট এবং দ্বিপ্রভাত ঘোষের বিশ্বস্ত হাত ডেগি কার্ডোজোর দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল। এই ড্রয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে এক নম্বরে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাব ( ৯ ম্যাচে ১৮),দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল (৯ ম্যাচে ১৭),তৃতীয় সুরুচি সংঘ ( ৮ ম্যাচে ১৬)। মোহনবাগান সাত ম্যাচে এগারো পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে।
তবুও খুশি নন রঞ্জন
ম্যাচ শেষে নিজের দলের খেলায় একেবারেই খুশি নন রঞ্জন। মোহনবাগানের জুনিয়র দলকে পেয়েও তাঁর দল তাদের হারাতে না পারায় বেষ ক্ষুব্ধ শোনাল তাঁকে। পাশাপাশি ভাগ্যের কারণে এই পয়েন্ট ফেলে আসতে হয়েছে তাদের। বলেন, 'দু'টো বড় ক্লাবের বিরুদ্ধেই ড্র করতে হল। লাক সাথ দিল না। যখন ম্যাচ ১-১ চলছে তখনও একটা শট বারে মেরেছি। তো জানি না কঠিন জায়গায় চলে এসেছে। তাই জিততে হবে। আমি আশাবাদী। এই দলটা ভাল