ইস্টবেঙ্গলমাইকনকে মনে আছে? ব্রাজিলের এই ফুটবলার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে ০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে গোল করেছিলেন। আর সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান তারকা মিগুয়েল সেই কাজটাই আবার করলেন। ডেম্পোর বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে মহম্মদ আলির করা গোলে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর অবিশ্বাস্য গোলেই এগিয়ে যায় লাল-হলুদ।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই গোলই এখন চর্চার বিষয়। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে উঠে এসে বাঁ পায়ে শট করেন মিগুয়েল। গোলকিপার ভেবেছিলেন ক্রস। ফলে শুরুতে তিনি বল বাঁচাতে তৎপর হননি। আরও বড় ব্যাপার হল, বলটা দ্বিতীয় পোস্টে লেগে গোলে ঢুকে যায়। প্রথমার্ধে গোল খাওয়ার পরে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে নাওরেম মহেশ সিং দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান।
আর জয়সূচক গোলটা আসে ব্রাজিলিয়ানের পা থেকে। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালেও গোল ছিল তাঁর। আরও দুটো গোল করতে পারতেন তিনি। তবে তা হয়নি। সেই ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছে টাইব্রেকারে হারতে হয় লাল-হলুদকে। সেই হারের পর বিতর্ক কম হয়নি। তৎকালীন গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান কোচ অস্কার ব্রুজো। পদত্যাগ করেন বাঙালি কোচ। সুপার কাপের আগে সেই ঘটনা ছাপ ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল দলে।
সে কারণেই প্রথমার্ধে দেবজিৎ মজুমদারের ভুল থেকে গোল পায় ডেম্পো। ফ্রিকিক থেকে উড়ে আশা বলের ফ্লাইটটাই বুঝতে পারেননি বাঙালি গোলকিপার। গোল ছেড়ে বেরিয়ে এলেও, পাঞ্চ করে বল বের করতে পারেননি বিপদসীমা থেকে। এরপর বক্সের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা মহম্মদ আলি ছোট্ট টোকায় বল জাড়ে জড়ান। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না আনোয়ার আলিদের। আর সেই কারণেই মিগুইয়েলের গোলটা এতটা স্পেশাল। পিছিয়ে পড়েও তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও শেষ অবধি ২-২ গোলেই ম্যাচ শেষ হয়। কারণ শেষ মুহূর্তে ডিফেন্সের ভুলে গোল খেয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল।