East Bengal: দুই 'বাতিল' ঘোড়াই খেলা ঘোরানোর কারিগর, ডিমি-সলে ভরসা ফিরল ইসবেঙ্গলের?

রবিবারের কলকাতার ডার্বিতে হয়তো খেলাই হত না ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফরওয়ার্ড দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোসের। তবে ম্যাচের ১৬ মিনিটে হামিদ আহদাদ চোট পেয়ে উঠে যেতেই মাঠে নামলেন ডিমানটাকোস। তারপরেই ফুটবলের মক্কা দেখল 'গ্রীক গডের' উত্থান। চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে দলকে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে নিয়ে গেলেন তিনি। আরেকজন সল ক্রেসপো।

Advertisement
দুই 'বাতিল' ঘোড়াই খেলা ঘোরানোর কারিগর, ডিমি-সলে ভরসা ফিরল ইসবেঙ্গলের?ডিমানটাকোস ও সল ক্রেসপো

ভাগ্যের কী অদ্ভুত পরিহাস! রবিবারের কলকাতার ডার্বিতে হয়তো খেলাই হত না ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফরওয়ার্ড দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোসের। তবে ম্যাচের ১৬ মিনিটে হামিদ আহদাদ চোট পেয়ে উঠে যেতেই মাঠে নামলেন ডিমানটাকোস। তারপরেই ফুটবলের মক্কা দেখল 'গ্রীক গডের' উত্থান। চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে দলকে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে নিয়ে গেলেন তিনি। আরেকজন সল ক্রেসপো।

স্বস্তি দিলেন ডিমানটাকোস
দীর্ঘদিন পরে লাল-হলুদ জনতা হয়তো বড় স্বস্তি পেল। তবে সব থেকে বড় স্বস্তিটা পেলেন হয়তো ডিমি। গত মরসুমটা একেবারেই ভাল যায়নি তাঁর। এই মরসুমে হামিদ আসার পরে, পরপর দুই ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন তিনি। ফলে শেষ ম্যাচে প্রথম একাদশে জায়গা পাননি ডিমি। তবে ডার্বিতে সুযোগ পেয়েই সকলকে ভুল প্রমাণ করলেন এই গ্রীক ফরওয়ার্ড। তাই হয়তো এদিন ডিমির সেলিব্রেশনটাও একটু আলাদা। 

প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমর্থকদের স্যালুট থেকে শুরু করে, দ্বিতীয় গোলের পরে জামা খুলে সেলিব্রেশন। ডার্বিতে যেন সমস্ত বঞ্চনার জবাব দিতেই নেমেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে তৃপ্ত ডিমানতাকোসকে দেখা গেল সমর্থকদের দিকে সদ্য পিতৃহারা হয়ে দেশে ফেরা মহম্মদ রশিদের জার্সি নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছিল কতটা চাপমুক্ত তিনি।

অন্যদিকে শেষ কয়েকদিন ডিমির প্রতি একটু কঠোরই ছিলেন অস্কার ব্রুজো। যদিও ম্যাচ শেষে অস্কার জানিয়ে গেলেন, 'কিছু কিছু সময় আপনাকে আপনার সেরা ফুটবলারের থেকে ভাল খেলা বার করে আনতে, মাঝে মাঝে কঠিন হতে হয়। শেষ ম্যাচে আমি দিমিকে নামাই নি। আর আজকে মাঠে নেমে ডিমি দলের জন্য যেটা করেছে, তা এক কথায় অনবদ্য ছিল। আমরা আশা করব এই মরসুমে আবার আমরা সেরা ডিমানটাকোসকে দেখতে পাব।'

ছন্দে সলও

অন্যদিকে মিডফিল্ডে দারুণ খেলেছেন সল ক্রেসপো। গত মরসুমের পর, তাঁকেও ছেড়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। তবে এবার প্রথম ম্যাচ থেকেই কিছুটা আত্মপ্রত্যয়ী লেগেছে তাঁকে। বল ধরা, বল ছাড়া। ট্যাকেল করা সব ক্ষেত্রেই কাজের কাজটা ভালভাবে করেছেন। জায়গা নিয়ে বিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টাও করে গিয়েছেন।  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement