হোসে মলিনার পছন্দের তালিকায় যে দিমিত্রি পেত্রাতোস নেই সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। সেই কারণেই দল হারছে দেখেও তাঁকে নামানো হয় না। বেঞ্চে বসে হাত কামড়ানো ছাড়া কিছুই করার থাকে না। তবুও দলের স্বার্থে যতটুকু করা যায়, করে যান অজি স্ট্রাইকার। স্প্যানিশ মলিনা তা বুঝেও যেন বুঝতে পারেন না।
বৃহস্পতিবার রাতে একটা ছবি আপলোড করেন পেত্রাতোস। জার্সির উপর ব্রিফ পরে সমর্থকদের হাত নাড়াচ্ছেন। যা দেখে প্রায় চমকে ওঠে সবুজ-মেরুন জনতা। তবে কি মোহনবাগান ছাড়ছেন পেত্রাতোস? পড়শি ক্লাব থেকেও শুরু হয় টিপ্পনি। ইস্টবেঙ্গল ডিমানটাকোসকে ছেড়ে দেওয়ার পর ময়দানে একটাই দিমি। যাকে মেরিনার্সরা রিয়েল দিমি বলেন। তিনিও ক্লাব ছাড়ছেন? তাঁর ছবিটাই কি বিদায়ের কথা জানিয়ে দিল?
সত্যিই কি দিমিকে ছাড়ছে মোহনবাগান?
সূত্রের খবর, এখনই দিমিত্রি পেত্রাতোসকে ছাড়ার পরিকল্পনা নেই মোহনবাগানের। কারণ, তাঁর সঙ্গে চুক্তি। যা শেষ হওয়ার আগে এই ফুটবলরকে ছেড়ে দিলে মোটা টাকার আর্থিক ক্ষতি হবে সবুজ-মেরুনের। যা কোনোভাবেই চাইবে না ম্যানেজমেন্ট। আর সে কারণেই তাঁকে আপাতত ছাড়া হচ্ছে না। যদিও নতুন আসা রবসন রবিনহোর ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন আছে। অন্তত এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-র ম্যাচে তাঁকে দেখে মনে হয়নি তিনি ফিটনেসের ধারের কাছে আছেন। তাঁকে দিয়েই কী সুপার কাপ বা বাকি মরসুম কাজ চালিয়ে নিতে চাইছেন মলিনা? স্প্যানিশ কোচের নয়া এই প্ল্যান কাজ করছে না। সেটা অন্তত সমর্থকরা বুঝে গিয়েছেন। আহাল ম্যাচ হারের পরই তাই গ্যালারি থেকে মলিনা বিদায়ের দাবি শোনা গিয়েছে।
ডার্বির পর এএফসিতে হার। ফলে আঘাত পেয়েছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। এর মধ্যেই পেত্রাতোসকে বিদায় দিলে সেই আগুনে ঘি পড়বে। গত কয়েক বছর ধরেই সবুজ-মেরুনের নয়নের মণি দিমিত্রি। ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের সায়ন বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝামেলা হোক, বা শেষ মুহূর্তে দলকে জেতানো, কিংবা দত্তাবাদে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ফুটবল পায়ে নেমে পড়া। সব কিছুতেই মন জয় করেছেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার। আর সেটা আন্দাজ করেই হয়ত ধীরে চলো নীতি নিচ্ছে মোহনবাগান।