ইস্টবেঙ্গলসুপার কাপের ফাইনলেও হার। দল শক্তিশালী হলেও ট্রফি আসছে না। বড় ম্যাচে গোল করার দক্ষতার অভাব বারবার টের পেতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ভাল ফুটবল উপহার দিচ্ছে। কিন্তু সিনিয়র দলের ট্রফির ভাঁড়ার সেই শূন্য। প্রথমে ডুরান্ড কাপ, তারপর আইএফএ শিল্ড, এবার সুপার কাপ। তিনটি নকআউট প্রতিযোগিতাতেই স্বপ্নভঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের।
তারমধ্যে শেষ দুটিতে টাইব্রেকার এবং সাডেনডেথে হার। তিনটি প্রতিযোগিতাতেই দেখা গেছে ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ড এবং ডিফেন্স দুরন্ত ফুটবল উপহার দিলেও আক্রমণভাগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। গোল করার ব্যর্থতা সুপার কাপের ফাইনালেও সমস্যায় ফেলেছে লাল-হলুদকে। হামিদ আহদাদ ভীষণভাবেই চোটপ্রবণ। খেলতে পারলেও যে আহামরি কিছু করছেন তা নয়। অন্যদিকে হিরোশি ইবুসুকিকে ঠিক কেন দলে নেওয়া হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। খুব বড় ফুটবলবোদ্ধা না হলেও বোঝা যাচ্ছে, আইএসএলের এই দুই স্ট্রাইকারকে নিয়ে খুব ভাল কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই হিরোশিদের জন্যেই রক্ষণে আনোয়ার, সিবিলেদের দুরন্ত লড়াই প্রতিযোগিতার পর প্রতিযোগিতায় কোনও দাম পাচ্ছে না।
কেউ কেউ তো বলেই ফেলছেন হিরোশিকে দেখে সুস্থ মনে হচ্ছে না। কেউ আবার বলছেন, খেপের মাঠের ফুটবলারদের থেকেও খারাপ অবস্থা। ফলে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে ড্র, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয়ের পর যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল, তা সুপার কাপ ফাইনালে হারের পর, অনেকটাই হতাশায় রূপান্তরিত হয়েছে।
এখন আইএসএলেও যদি এদের বয়ে বেড়াতে হয়, তাহলে পারফরমেন্সের চাকা কতটা ঘুরবে তা বলা মুশকিল। যদিও ম্যানেজমেন্ট সূত্রের খবর, বিদেশি স্ট্রাইকারদের বদলের কোনও সম্ভাবনা এখনও অবধি নেই। কারণ ভারতীয় ফুটবলের এই কঠিন পরিস্থিতিতে নতুন করে অর্থ খরচের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে চাপাতে চায় না তারা। অতএব ভরসা সেই মিডফিল্ডাররা। সেক্ষেত্রে মহেশ, মিগেলদের ওপরেই গোলের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে আইএসএলে।
অন্যদিকে সুপার কাপ ফাইনালে হারের পরই দেশে ফিরে গেছেন কোচ অস্কার ব্রুজো। ছুটি দেওয়া হয়েছে গোটা দলকে। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুশীলন বন্ধ ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হলে তবেই অনুশীলন শুরু করবে লাল-হলুদ।