মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কি মহিলাদের ফুটবল দলও গড়বে? এ ব্যাপারে এবার উদ্যোগ নিতে চলেছেন সবুজ-মেরুনের প্রাক্তন গোলকিপার শিল্টন পাল। মোহনবাগানের নতুন কমিটি মনয়ন জমা দেওয়ার পরেই দেখা যায়, ইয়ুথ ফুটবলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিল্টনকে। ইস্টবেঙ্গল, সুরুচি সংঘ দল গড়লেও, কন্যাশ্রী কাপ বা আইডাব্লুএল-এ মোহনবাগানের কোনও দল ছিল না।
এটা যদি বাস্তবায়িত হয়, তা হলে, ছেলেদের আইএসএল, কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ বা সুপার কাপে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দ্বৈরথ ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এবার মেয়েদের ফুটবলেও সেই দ্বৈরথ দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। যদিও, এ ব্যাপারে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কর্তাদের সবুজ সংকেত পাওয়া যাবে কিনা তা এখনও জানা নেই। মহিলাদের ফুটবলে দো নামানোর এখনও কোনও পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি সঞ্জীব গোয়েঙ্কাদের কাছ থেকে।
দীর্ঘ কয়েকমাস সৃঞ্জয় বসু ও দেবাশিস দত্তের নির্বাচনী লড়াই ঘিরে উত্তপ্ত ছিল ময়দান। এর পরেই ৯ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা হয়। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কোনও পক্ষই। ফলে মোহনবাগানকে আই লিগ জেতানো গোলরক্ষক শিলটন পাল (Shilton Paul) বলেন, 'মোহনবাগান ক্লাবে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। ক্লাবের উন্নতির জন্য যেটা করার দরকার সেটাই আমরা করছি।'
পাশের ক্লাব ইস্টবেঙ্গল পুরুষদের ফুটবলে সাফল্য না পেলেও তাদের মহিলা ব্রিগেড গত মরসুমে দরুন্ত পারফর্ম করেছে। ভারত সেরা হওয়ার পাশাপাশি কণ্যাশ্রী কাপও জিতেছে। এই বিষয়ে শিলটন বললেন, 'আমি যতদূর জানি এবার মহিলা দল গড়া হবে। আজকে নির্বাচনের বিষয়টি সম্পন্ন হল। এবার সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে। মোহনবাগানের ভাল হচ্ছে, আমি খুবই খুশি।'
এ ব্যাপারে সচিব পদে দায়িত্ব নিতে চলা সৃঞ্জয় বসুও নাকি সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বোর্ডের মিটিং-এ এ ব্যাপারে ফুটবল কর্তাদেরও নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে হবে সবুজ-মেরুন কর্তাদের। সেক্ষেত্রে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট সূত্রের খবর, মহিলা ফুটবলাদের জন্য মাঠের কী ব্যবস্থা হবে বা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে সৃঞ্জয় বসুরা কী ভাবছেন সেটাও জানতে চাওয়া হবে। এ ব্যাপারে সদুত্তর পেলেই মেয়েদের দল গঠনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেবে সুপার জায়েন্ট। কারণ গত মরসুমে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে মোহনবাগান মাঠ মেরামত করা হয়েছিল বলে দাবি, মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কর্তাদের। তবে হকির মরসুম শুরু হওয়ায় তা আর ব্যবহার করা যায়নি। তাই তাঁরাও এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ। ফের নতুন করে মাঠ দেখতে হয়েছে তাদের।