৩৯ বছর বয়সি গৌতম গম্ভীরের কথা অনুসারে, ধোনির সঙ্গেই তাঁর উপরে ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব ছিল। ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি ৭৯ বলে ৯১ রানের দুরন্ত একটা ইনিংস ভারতীয় দলকে উপহার দিয়েছিলেন। এই ইনিংসের দৌলতেই ভারত ২৮ বছর পর দ্বিতীয়বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করে। আজ ১০ বছর পর গৌতম গম্ভীর জানালেন, তিনি যখন আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন এই ভয় পেয়েছিলেন যে ভারত যেন এই বিশ্বকাপে না হেরে যায়।
এই ফাইনাল ম্যাচের ৪২ ওভারে ৯৭ রান করে আউট হয়ে যান গৌতম গম্ভীর। সেইসময় ভারতের জয়ের জন্য আর ৫২ রান দরকার ছিল। গম্ভীরের আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন যুবরাজ সিং। এরপর সুরেশ রায়নার ব্যাট করতে আসা বাকি ছিল।
স্পোর্টস টুডে'র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গম্ভীর বললেন, যখন উনি আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখনও তাঁর মনের মধ্যে পরাজয়ের একটা ভীতি কাজ করছিল। কারণ ক্রিকেটে ইতিপূর্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানালেন যে আর বাকি তিনটে রান করার আক্ষেপ আমার ছিল না। আমার শুধুমাত্র আক্ষেপ একটাই যে ম্যাচটা আমি শেষ করে আসতে পারলাম না। কারণ এটাই আমার দায়িত্ব ছিল।
আপনারা সকলেই জানেন যে ক্রিকেটে বিভিন্ন ধরনের আজব ঘটনা ঘটতেই থাকে। যখন আপনি মাঠে খেলছেন এবং টুর্নামেন্টটা বিশ্বকাপের ফাইনাল, তো আমার দায়িত্ব ছিল যে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ম্যাচটা শেষ করা। আমি যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছিলাম, তো এই বিষয়ের আক্ষেপটাই আমার মনের মধ্যে ছিল। শতরান হাতছাড়া করার কোনও আক্ষেপ ছিল না।
সেইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, আমার আক্ষেপ ছিল যে যদি আমরা এই বিশ্বকাপটা জিততে না পারি, তাহলে সারা জীবন এই দুঃখ নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। আর সেই ভয়টাই আমাকে ক্রমশ গ্রাস করছিল। সচিন এবং সেহওয়াগ আউট হওয়ার পর গৌতম গম্ভীর বিশ্বকাপ ফাইনালে ১২২ বলে ৯৭ রান করেছিলেন। এই ম্যাচে গম্ভীর বিরাট কোহলির সঙ্গে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এছাড়া তিনি অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গেও ১০৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন।