মন্ত্রী তিনি হয়েছেন ঠিকই। তবে মন্ত্রীত্বের মধ্যে মনোজ তিওয়ারি খেলবেন ক্রিকেট। সে কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বাংলা ক্রিকেট সংস্থা ও রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিজেই। ফলে সেই মতো বাংলার ফিটনেস ট্রেনিং ক্যাম্পের ৩৯ সদস্যের দলে রাখা হয়েছিল মনোজকে। অবশেষে মনোজ তিওয়ারি নামলেন বাংলার অনুশীলনে।
অনুশীলনে নেমে পড়ল ঘোষিত বাংলা দলের ক্রিকেটাররাও। ২০১৯-২০ মরশুমে বাংলা দল রনজি ট্রফির ফাইনালে হারলেও, একটি ছাপ ফেলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। সেখান থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত দুরন্ত ক্রিকেট খেলেছেন বাংলার ক্রিকেটাররা।
এই মরশুমে প্রথমে ফিটনেস ক্যাম্প দিয়েই শুরু হচ্ছে মরশুম। ফিটনেস ক্যাম্পে ন্যাশানাল দলে থাকা ছাড়া সব ক্রিকেটারদেরই যোগ দিতে হবে। ফলে সেই অনুযায়ী সবাই শুক্রবার সকালে পৌঁছে গিয়েছিল মাঠে।
সল্টলেকের ভিডিওকন মাঠে বাংলা দলের অনুশীলন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ক্যাম্পে আপাতত ফিটনেস ট্রেনিং হবে ক্রিকেটারদের। ফিটনেস অনুশীলন করে ও সবার ফিটনেস দেখে নেওয়া হবে এই ক্যাম্পে।
এই ক্যাম্প চলছে বাংলার কোচ অরুণ লালের তত্ত্বাবধানে। অরুণ লালের পাশাপাশি এই দলের নতুন ভাবে দায়িত্বে আছেন শিবশঙ্কর পাল ও সৌরাশিস লাহিড়ী।
এই দুই প্রাক্তন বঙ্গ ক্রিকেটারের তত্ত্বাবধানে চলছে বাংলার অনুশীলন। রয়েছেন ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জিবও। এখন থেকে ফিটনেসে পারদর্শী করে তোলা হবে দলকে।
এই দলের ফিটনেসের সব রকম ভাবে তৈরি করার পর ফিটনেসের নিরিখেই বেছে নেওয়া হবে বাংলার প্রাথমিক দল। সেখানে রনজি, বিজয় হাজারে ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির জন্য বাছা হবে প্রাথমিক বাংলা দল।
ফিটনেসকে প্রথম থেকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছেন বাংলার কোচ অরুণ লাল। তাঁর কথা মতোই প্রতি মরশুমের আগেই ফিটনেস ক্যাম্প করে থাকে বঙ্গ ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই সেটা শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গেল। মাঠে নামলেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। নামলেন অনুষ্টুপ মজুমদার, মনোজ তিওয়ারি, অর্ণব নন্দী সহ সুদীপ চট্টোপাধ্যায়রা, শ্রীবৎস গোস্বামীরা।
তবে এই বাংলা দলের অন্যতম চমক হলো মনোজ তিওয়ারি। মন্ত্রী ও একটি সরকারে থেকে নিজের কাজকর্ম করেও বাংলা দলে ক্রিকেটার হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। বাংলা দলে পেশাদার ক্রিকেট খেলতে চান তিনি। তাঁর লক্ষ্য রনজি ট্রফি জয়। সেই জন্যই এবার দলের সঙ্গে আগের মতোই অনুশীলনে নেমে পড়লেন মনোজ। অনুশীলনে ছিলেন কাজি, শাহবাজ আহমেদ, প্রয়াস রায় বর্মণ, সায়ন ঘোষ, বিবেক সিংরাও।
ছবির সৌজন্য- সিএবি মিডিয়া।