নতুন করে কোভিড ঢেউয়ের মোকাবিলা করার জন্য আরও একবার বিপাকে পড়ল দিল্লি। বিগত কয়েক সপ্তাহে কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেছে যে সরকারি হাসপাতালেও জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল খতিয়ে দেখছেন যে কীভাবে হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায় এবং সেইসঙ্গে নিয়মিতভাবে অক্সিজেনের যোগান দেওয়া যায়।
এই অবস্থায় কমনওয়েলথ গেমস স্টেডিয়ামে একটি কোভিড কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ৪৬৫টি শয্যার ব্য়বস্থা করা হয়েছে যারমধ্যে ২১৫টি শয্যায় অক্সিজেনের যোগান দেওয়া হচ্ছে। এই স্টেডিয়ামে মোট ৬০০টি শয্যা রাখার জায়গা রয়েছে। ইতিপূর্বেও মনওয়েলথ গেমস স্টেডিয়ামে কোভিড আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য ব্য়বহার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এখানে ৫০জন চিকিৎসক এবং ১০০জন নার্স রোগীদের সেবায় নিযুক্ত হবেন। তবে যে সকল আক্রান্তের শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখতে পাওয়া গেছে এবং লোকনায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতাল রেফার করলে তাঁদেরকেই এখানে নিয়ে আসা হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামীকাল থেকে এখানে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
তবে যে সকল আক্রান্তেরা ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (ICU) রয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা হাসপাতালেই করা হবে বলে জানা গেছে।
ইতিপূর্বে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ থেকে ৬ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন। আজ রাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই লকডাউন লাগু হবে।
অন্যদিকে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, করোনার টিকাকরণের তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়ে গেছে। আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে যে কোনও ব্যক্তি এই টিকা নিতে পারেন। তবে টিকাকরণের বিধি সম্পর্কে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে।