দ্রাবিড়, যুবরাজ আমার দুসরা পড়তে পারত না, সৌরভের গণধোলাই নিয়ে চুপ মুরলি

রাহুল দ্রাবিড় আমার দুসরা কখনো ধরতে পারেনি। এমনটাই মনে করছেন শ্রীলংকান কিংবদন্তি অফস্পিনার মুতাইয়া মুরালিধরন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন এ কথা।

রাহুল দ্রাবিড় কখনওই তাঁর দুসরায় স্বাচ্ছন্দ ছিলেন না বলে দাবি তাঁর। শুধু রাহুল নয়, কারা তার দুসরা ধরতে পারতেন না তার একটা তালিকা দিয়েছেন তিনি।

এর মধ্যে ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিংয়ের কথা বলেন তিনি। যে কারণে ২০১১ বিশ্বকাপে ফর্মে থাকা যুবরাজের আগে এসেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

এমনটাই এদিন দাবি করেন মুরলিধরন। তার মতে, ধোনি আগে তার দুসরা খুব ভালো পড়তে না পারলেও চেন্নাই সুপার কিংস এর খেলার সুবাদে একই ড্রেসিংরুমে থেকে তার দুসরা কায়দা শিখে নিয়েছিলেন ধোনি। তাই যুবরাজকে আড়াল করে তিনি ফাইনালে আগে উঠে আসেন। গোটা টুর্নামেন্টের যুবরাজ ভালো খেললেও ধোনি একেবারেই ফর্মে ছিলেন না। তবে ফাইনালে ধোনির ইনিংস তার গোটা টুর্নামেন্টের ব্যর্থতা চাপা দিয়ে দেয়।

তবে সচিন তেন্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ তার দুসরা ভালোই পড়তে পারতেন বলে জানিয়েছেন মুতাইয়া। সচিন দীর্ঘদিন তাঁকে ভালভাবেই খেলেছেন প্রথাগত বলে চেয়ে দুসরা ভাল খেলতেন।

ভিভিএসও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কোনও দিন বিপাকে পড়েননি। বিশেষ করে মুরলির দুসরাকে অনেকবারই পত্রপাঠ বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন। তাঁকেও ফুল মার্কস দিচ্ছেন মুরলি।

পাশাপাশি গৌতম গম্ভীরও তার দুসরা মাঠে ভালোই পড়তেন। ২০১১ বিশ্বকাপে অন্য়তম সেরা পারফর্মার ছিলেন গৌতম গম্ভীর।

বোলারদের ত্রাস বীরেন্দ্র সেহবাগ কখনও পড়তে পারতেন। তখন হিট করে দিতেন। আবার কখনও না পড়তে পেরে কখনও মিস করেছেন বলেও দাবি করেন মুতাইয়া।

স্বদেশীয় খেলোয়াড়দের যাদের নেটে বল করতে হতো বা অন্যান্য প্রভিন্সের হয়ে খেলার সময় তাঁর বিরুদ্ধে খেলতে হতো তাদের মধ্যে অরবিন্দ ডিসিলভা তাঁর দুসরা খুব ভাল খেলতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক সময় বিপক্ষ দলকে রানের বন্যায় ভাসিয়ে কাবু করে দেওয়া মারভান আটাপাট্টুকেই তিনি দুসরা খেলার ব্যাপারে উঁচু স্থানে রাখছেন।

কুমার সঙ্গাকারাকেও তিনি দুসরা খেলার ব্যাপারে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। বিভিন্ন সময় সঙ্গা তাঁকে অনায়াসে দুসরায় খেলেছেন, দাবি তাঁর।

মাহেলা জয়বর্ধনেও মুরলির দুসরা খেলার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি নিজে। ফলে তাঁকে নম্বর দিচ্ছেন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ।

তবে শ্রীলঙ্কার বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান তিলকরত্নে দিলশানের নাম করে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কখনোই তার দুসরা বিন্দুমাত্র বুঝতে পারেননি। কোনও দিনও না।

তবে অনেকের নাম বললেও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম তিনি উল্লেখ করেননি। ১৯৯৯  সালে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের টনটনে তাঁকে এমন মার মেরেছিলেন, দুসরা কেন, ফ্লিপার, টপস্পিন কোনও কিছুতেই কাবু করতে পারেননি তিনি। তাঁকে লেগ স্পিন করতে বাধ্য করেছিলেন সৌরভ। জীবনে একবারই। এমন বেধড়ক মারের যন্ত্রণার কথা মনে করতে চাইলেন না তিনি !নইলে সৌরভ এর নাম উহ্য রাখার তো কারণ নেই। ফলে তাঁর গাঙ্গুলি নিয়ে মৌনতা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে।