ভারতীয় ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজের কাহিনী খুবই সুন্দর যা অনেকটাই আবেগ পূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে ট্র্যাজেডির দুঃখ, নিজের দক্ষতা আয়ত্ত করার রোমাঞ্চ এবং শীর্ষ পর্যায়ে সাফল্যের আনন্দ।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে শেষ হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের জয়ের সময় আট উইকেট নিয়ে সিরাজ দেখিয়েছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় তার সাফল্য স্বল্পস্থায়ী ছিল না এবং তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন বই 'মিশন ডমিনেশন: আন আনফিনিশড কোয়েস্ট' এই যে আবেগ এবং গর্বের অনেক গল্পের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে সিরাজ অন্যতম। এটি লিখেছেন বোরিয়া মজুমদার এবং কুশন সরকার যখন এটি প্রকাশ করেছেন সাইমন অ্যান্ড শুস্টার।
ভারতীয় দল বরাবরই জানত যে সিরাজের সাফল্য অর্জনের আগ্রহ ছিল কারণ তাঁরা তাকে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় দেখেছিল যখন তার বাবা একটি সংক্ষিপ্ত অসুস্থতার পর মারা যান।
বই অনুসারে, "অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের সময় নভেম্বরে সিরাজের বাবা মারা যান। এর অর্থ এই যে, তার সতীর্থরা কেউ এই সময়ের মধ্যে দুঃখ ভাগ করে নিতে তার ঘরে যেতে পারেনি। সেই সময়, পুলিশরা প্রত্যেকের কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল যাতে তাঁরা করোনার নিয়ম লঙ্ঘন না করে। তাদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল যেন তারা একে অপরের ঘরেও না যান ও আইসোলেশনে থাকেন।
এতে বলা হয়েছে, "ফলাফল ছিল যে সতীর্থরা তার সাথে সারা দিন ভিডিও কলে কথা বলত। তারা চিন্তিত ছিল যে তিনি কিছু ভুল করতে পারেন বা নিজের ক্ষতি করতে পারেন। শুধুমাত্র ফিজিও তাঁর রুমে চিকিৎসার জন্য যেতে পারতেন এবং নিতিন প্যাটেল ভিতরে গিয়ে এই তরুণ খেলোয়াড়ের দুঃখ ভাগ করে নেন।
বই অনুসারে, "সিরাজ বিভিন্ন সময়ে ভেঙে পড়েন যা স্বাভাবিক ছিল কিন্তু তিনি কখনও হাল ছাড়েননি। তিনি ভারতের জন্য তার সেরা করার বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে চেয়েছিলেন এবং যখন তিনি মেলবর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিং ডে টেস্টের সময় সুযোগ পেয়েছিলেন, তখন তিনি তা ছেড়ে দিতে চাননি। তিনি নিজেকে প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজে ১৩ টি উইকেট নিয়ে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন সিরাজ। সিরিজ চলাকালীন তিনি ছিলেন ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার।