কোপা আমেরিকা বনাম ইউরো কাপের লড়াই নিয়ে ফুটবল প্রেমীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়ন দুই দল আর্জেন্টিনা ও ইতালি ফাইনালিসিমায় মুখোমুখি হয়।
ক্লাব ফুটবলের মরশুম শেষ হওয়ার পর মেসি-চেয়ালিনি দ্বৈরথ দেখতে ফের রাত জেগেছিল বাঙালি। তবে মেসি-দি মারিয়াদের সামনে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি মানচিনির ইতালি।
ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ সালে শেষবার ফাইনালিসিমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ম্যাচেও ইউরো চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ককে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১ গোলে পিছিয়ে থেকেও ২-১ গোলে তারা হারায় ডেনমার্ককে।
গোল না পেলেও দারুণ ফুটবল খেলেন লিও মেসি। দুটি গোলের বল বাড়ানোর পেছনে অবদান রয়েছে তাঁর। একটা গোল করার পাশাপাশি একটা অ্যাসিস্ট রয়েছে মার্টিনেজের।
২৮ মিনিটে মেসি-মার্টিনেজের যুগলবন্দীতে আসে প্রথম গোল। দারুণ ভাবে টার্ন করে গায়ে লেগে থাকা ডিফেন্ডার ডি লরেঞ্জোকে বিট করেন মেসি। তারপর গোলের জন্য পাস দেন মার্টিনেজকে। গোল করতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয় গোল দি মারিয়ার। মার্টিনেজের পাস থেকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান দি মারিয়া।
ম্যাচের শেষ দিকে মাঠে নেমেই গোল করেন পাওলো ডিবালা। মেসি বলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর সঙ্গে সঙ্গে সেই বল ধরে নেন ডিবালা। সেখান থেকে শট করে বল জালে রাখেন তরুণ এই স্ট্রাইকার।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের স্কোর ৫-০ বা ৬-০ হতেই পারত। তবে তা হয়নি ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনোরুমার জন্য।