NOTIFICATIONS
5th Nov
নীরজ ইতিমধ্যেই শেষ ১৩ বছরে প্রথম স্বর্ণ পদক জয়ী ভারতীয় অলিম্পিয়ান। তিনি বেশ নাম করে ফেলেছেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে। কারণ এই ইভেন্টে যে তিনি প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ যিনি প্রথম অলিম্পিক পদক অর্জন করেছেন।
শনিবার নীরজ চোপড়া ইতিহাস রচনা করেছেন। টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের জ্যাভেলিন স্বর্ণপদক জেতার সময় পানিপথের ২৩ বছর বয়সী কিছু চমকপ্রদ রেকর্ড গড়েছিলেন। তিনি অলিম্পিকে প্রতিযোগিতায় জয়ী প্রথম এশিয়ান পুরুষ এবং অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রথম ভারতীয় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ক্রীড়াবিদ ছিলেন।
নীরজ চোপড়াকে টোকিও অলিম্পিকের জন্য ভারতের উজ্জ্বল পদক প্রত্যাশীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে যখন তিনি একটি নতুন বিশ্ব জুনিয়র রেকর্ড গড়েন, তখন তিনি নজরে পড়েন। ২০১৬ সালে নীরজ তার কৃতিত্বকে আরও উন্নত করেছে, ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমস এবং এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক জিতেছে। ভারতীয় তারকা এবং তিনি খেলাধুলার সবচেয়ে বড় মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছিলেন, টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের জ্যাভলিন মাঠ উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
৭ আগস্ট ফাইনালের কথা ধরতে গেলে, নীরজ চোপড়া ৮৭.০৩ মিটার নিক্ষেপ করে প্রথম দিকের মার্কার রাখেন। দুই অলিম্পিক পদকপ্রাপ্ত - কেশর্ন ওয়ালকট এবং জুলিয়াস ইয়েগো - যোগ্যতা রাউন্ডে হেরে যাওয়ার পর, নীরজের প্রথম নিক্ষেপ, দেখা গেল, তাকে পোডিয়ামে ফিনিশ করতে এটা সহায়তা করত। একটি ঘটনা অতীতে ঘটেছিল সিডনিতে ২০০০ সালে। সিশন বেস্ট নিক্ষেপ করেছিলেন গাতসিওডিস ৯১.৬৯মিটার তবে শেষে গোল্ড নিয়ে যান জান জেলেজনি ৯০.১৭ মিটার ফাইনালে মেরে।
নীরজের প্রথম নিক্ষেপের পর সবার চোখ ছিল জার্মানদের দিকে। জোহানেস ভেটার, যিনি গত বছর ৯৭.৭৬ মিটার দ্বিতীয় সর্বকালের সেরা নিক্ষেপ করেছিলেন এবং ২০২১ সালের মরশুমে সেরা ছিলেন-একটি ভয়াবহ ৯৬.২৯ মিটার-একটি সাধারণ যোগ্যতা রাউন্ড সত্ত্বেও স্বর্ণপদক জেতার জন্য পছন্দ ছিল স্বয়ংক্রিয় যোগ্যতা অর্জনের জন্য তৃতীয় প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এবং তারপরে অভিজ্ঞ জুলিয়ান ওয়েবারের সাথে ছিলেন চেক ইয়াকুব ভাদলেজচ এবং ভিটেস্লাভ ভেসেলি। ২০০৪ সালের ফ্রান্সের ইভানোভ মেরেছিলেন বেস্ট ৮৭.৭৩ মিটার তবে ফাইনালে স্বর্ণ পদক পেয়েছিলেন ডেনমার্কের থোর। ফাইনালে তিনি মেরেছিলেন ৮৬.৫০।
৮৭.৫৮ মিটার - নীরজের ঐতিহাসিক নিক্ষেপ
যাইহোক, তাদের কেউই তাদের প্রথম প্রচেষ্টায় নীরজের প্রথম নিক্ষেপের সাথে মেলে না। নীরজ তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৮৭.৮৫ মিটার আরও ভাল নিক্ষেপের জন্য বর্শা, উষ্ণতা এবং লেনের নিচে দৌড়ে গেলেন। যে মুহূর্তে নীরজ তার হাত থেকে জ্যাভলিন উড়তে দেয়, সে উদযাপনে তার হাত বাড়িয়ে দেয়। তিনি জানতেন যে তিনি বিশেষ কিছু করেছেন। শারীরিক ভাষা গল্প বলে। কিন্তু ২০০৮ সালে বেজিংয়ে অন্যরকম ব্যাপার ছিল ৯০.৫৭ সিশন বেস্ট ছিল একই সঙ্গে স্বর্ণ জিতেছিলেন ডেনমার্কের থোরকিল্ডসেন।
ভেট্টর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু জার্মান তারকা 82.52 মিটার অতিক্রম করতে সক্ষম হননি। ওয়েবার 85.30 মিটার নিক্ষেপ করে কাছে এসেছিলেন। রিও অলিম্পিকে, ঠিক এর আগে অন্য ঘটনা ছিল। কারণ যিনি সিশন বেস্ট নিক্ষেপ করেছিলেন তিনিই পেয়েছিলেন পদক। জার্মানের থমার রোহলার। সিশন বেস্টে তিনি মেরেছিলেন ৯১.২৮ মিটার। আর ফাইনালে স্বর্ণ পদকের জন্য তিনি মেরেছিলেন ৯০.৩০ মিটার।
অন্যদিকে, নীরজ 87.58 তে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি জানতেন যে তিনি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন যখন তিনি তার চূড়ান্ত নিক্ষেপের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর ব্যাক্তিগত সেরা ছিল এটা অলিম্পিকে। জার্মানের জহানেস ভেট্টার সিশন বেস্ট মেরেছিলেন ৯৬.২৯ মিটার। তাঁর দিকেই ফাইনালে সবার নজর ছিল, তবে ফাইনালে তিনি পারেননি। নীরজ চোপড়া ৮৭.৫৮ মিটার মেরে স্বর্ণ পদক ছিনিয়ে নেন।
ALL Infographic Courtesy: Meghnad Bose
INDIA TODAY
