ভারত আর জয়ের মাঝখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ৮ টি মূল্যবান উইকেট বাকি রয়েছে। এ ছাড়াও তার চেয়ে বেশি যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা হলো বৃষ্টি। চতুর্থ দিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একটিও বল খেলা হয়নি। ফলে সময় গড়িয়ে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার রান ও উইকেট সেই তিমিরেই রয়েছে। যা ছিল তৃতীয় দিনের শেষে।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা দাঁড়িয়ে রয়েছে ২ উইকেটে ১১৮ রানে। হোম টিমকে কে জিততে হলে আরও ১২২ রান তুলতে হবে। হাতে রয়েছে ৮ টি উইকেট। অন্যদিকে ভারতীয় দলের জন্য আর ১২২ রান করার আগেই বাকি আটটি উইকেট তুলে নেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা, সেটা যদি চতুর্থ দিন ধরে রাখতে পারে। তাহলে ভারতের পক্ষে ম্যাচ জেতা কঠিন। ম্যাচের যা পরিস্থিতি এবং যত সময় বাকি রয়েছে, তাতে এটুকু নিশ্চিত করে বলা যায় যে কোনও না কোন দল জিতবেই। জয়ের সম্ভাবনা একেবারেই কম যদি না চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনের বেশীরভাগটাই বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় তাহলে অন্য কথা।
তবে এই মুহূর্তে অন্তত পঞ্চম দিন এবং চতুর্থ দিনের বেশ কিছুটা সময় খেলা হবে বলে আশাবাদী দু'দলই। কারণ দু'দলই খুব কাছাকাছি জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে খেলার হিসেবে যদি বলতে হয় তাহলে ৫০ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।
দু'দলের কাছে চতুর্থ ইনিংসে ক্রমশ ভেঙে আসা উইকেটে যেখানে গোটা ম্যাচেই বিব্রত করেছে দুদলের ব্যাটারদের সেখানে ১২২ রান চাট্টিখানি কথা নয়। ফ্ল্যাট উইকেটে ৩০০ রান তোলার চেয়ে এখানে ১২২ রান তোলা অনেক বেশি কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আচমকা বৃষ্টি এবং মেঘলা স্যাঁতসেতে আবহাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাজটি কিন্তু আরও বেশি কঠিন করে দিতে পারে। তৃতীয় দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে চেতেশ্বর পুজারা জানিয়ে দিয়েছিলেন ভেঙে আসা পিচে চতুর্থ দিন ১২২ রান তোলা ও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্যেষে সহজ হবে না।
যেখানে ভারতীয় পেস ব্যাটারি এবং ক্রমশ ঘূর্ণি উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলার রয়েছে তার মধ্যেই মেঘলা আবহাওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ ঢাকা থাকলে বাড়তি ময়েশ্চার কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের কাজ আরও কঠিন করে দিতে পারে।
যেখানে শার্দুলের মতন সুইং বোলার, শামির মতো দ্রুতগতিতে আসা সিমার কিংবা জসপ্রিত বুমরার মতো আনঅর্থোডক্স নির্ভরযোগ্য পেসার রয়েছে, সঙ্গে সিরাজের বাড়তি গতি এবং বাউন্স যে কোনও সময়ে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কিন্তু কাজটি সহজ হবে না। তাই যত সময় বাড়ছে, পিচ ঢাকা থাকছে, কপালে ভাঁজ বাড়ছে ডিন এলগার, রেসি ভন ডার ডাসেদের।