চলতি আইপিএল মরশুমের অষ্টম ম্যাচে গতকাল পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এই ম্যাচে চেন্নাই ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। দলের এই জয়ের পিছনে জোরে বোলার দীপক চহ্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। দীপক ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে চারটে উইকেট শিকার করেন। এটা তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের সবথেকে ভালো পারফরম্যান্স। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শার্দূল ঠাকুর দীপক চহ্বারের একটা হাস্যকর ইন্টারভিউ নেন। সেই ইন্টারভিউয়ে দীপক বলেন যে প্রথম ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে পরের ম্যাচটা না খেলারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
দীপক চহ্বার বললেন, "প্রথম ম্য়াচে পরাজয়ের পর এই ম্যাচটা জেতা আমাদের দলের কাছে যথেষ্ট প্রয়োজনীয় ছিল। তবে এই জয়ের পিছনে যে আমার অবদান রয়েছে, এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে। আজকের এই ম্যাচটার পর আমি একথা বলতেই পারি যে ওয়াংখেড়ে আমার প্রিয় মাঠ। এখানে শুরুর দিকে কিছুটা সাহায্য পাওয়া যায়। যদিও গত ম্যাচে সেই সাহায্যটা আমরা পাইনি। অনেক রান দিয়ে ফেলছিলাম। গত ম্যাচের পর বেশ কয়েকটা টিম মিটিং হয়। একজন বোলার হিসেবে আপনার কাছে প্ল্যান A,B,C থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ (শুক্রবার) প্ল্যান A কাজে লেগে গিয়েছিল। আশা করছি, এই টিম মিটিং আমাদের পরের ম্যাচগুলো জিততে সাহায্য করবে।"
🔝 bowling performance
— IndianPremierLeague (@IPL) April 17, 2021
1⃣st win of the season
Interesting social media message 😉
Wrecker-in-chief @deepak_chahar9 chats with @imShard after @ChennaiIPL's win at Wankhede. 👌👌 - By @NishadPaiVaidya #VIVOIPL #PBKSvCSK @Vivo_India
Full interview 🎥👇 https://t.co/y51FcTVFNS pic.twitter.com/tjk6x2FObh
তিনি আরও যোগ করেন, "গত ম্যাচে আমার বোলিং একেবারে সাধারণ মানের ছিল। আমি ৩-৪ ওভারেই মোটামুটি ৩৫ রান (৪-০-৩৬-০) খরচ করে ফেলেছিলাম। এরপর হোটেলের ঘরে ফিরে আমি সোশ্যাল মিডিয়া চেক করছিলাম। সেই সময়েই আমি একটা বিশেষ মেসেজ পাই যে ভাই তুমি যথেষ্ট ভালো বোলার। কিন্তু, তোমার কাছে আমার অনুরোধ এটাই যে পরের ম্যাচটা আর খেলো না। এই পারফরম্যান্সটা আমি ওই ভাইয়ের জন্যই উৎসর্গ করলাম। যদি আজ না খেলতাম, তাহলে এই পারফরম্যান্সটা করতে পারতাম না। একটা ম্যাচ খারাপ খেলার জন্য সে যে খারাপ বোলার, এমনটা প্রমাণ করার কোনও মানেই হয় না। তাঁকে একটু সাপোর্টও তো করতে পারেন।"
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পঞ্জাব কিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে। পঞ্জাবের প্রথম পাঁচজন ক্রিকেটার মাত্র ২৬ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। পঞ্জাবের হয়ে শাহরুখ খান ৪৭ এবং ঝাই রিচার্ডসন ১৫ রানের ইনিংস খেলেন। চেন্নাইয়ের হয়ে স্যাম কারেন, মইন আলি এবং ডোয়েন ব্রাভো একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।