ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(Indian Premiere League) ২০২২ এর এলিমিনেটর (Eliminator) মোকাবিলায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু(RCb)-কে একার হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন যিনি, তিনি এখন জোর চর্চা রয়েছেন। সবাই এখন তার নাম জেনে গিয়েছেন। যদিও তিনি গত বেশ কয়েকটি আইপিএল (IP) ধরেই পরিচিত নাম।
রজত পাতিদার (Rajat Patidar) ৫২ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রান আকাশ ছুঁইয়ে দিয়েছিলেন। তার একার হাতে পৌঁছে দেওয়া রানকে টপকে যেতে পারেননি লখনউ সুপার জায়েন্টসকে (LSG)। শেষমেষ ১৪ রানে হার স্বীকার করতে হয় উত্তরপ্রদেশের দলটিকে। ম্যাচের সেরাও তিনি। রজত পাতিদার এখন গোটা বিশ্বে ইন্টারনেটজুড়ে ট্রেন্ডিং।
কিন্তু এই আইপিএলে রজত পাতিদার এর কাহিনীর চমকপ্রদ শুধু নয়, অতিনাটকীয়, মেলোড্রামাটিক (Melodramatic)এবং অবিশ্বাস্য (Unbelievable)। কিন্তু কেন? আসলে এই আইপিএলের নিলামে তাকে কোনও দলই কেনেনি। গোটা নিলামে অপেক্ষা করেও দল না পেয়ে হতোদ্যম হয়ে পড়েছিলেন। রজত পাতিদার ফলে তিনি সাংসারিক কাজে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
তিনি আইপিএলে খেলা হচ্ছে না দেখে বিয়ে ঠিক করে বিয়ের পিঁড়িতে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় আচমকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর তরফে তার কাছে ডাক যায়। তিনি অনায়াসে না বলতে পারতেন, কিন্তু খেলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আপাতত বিয়ে মুলতুবি রেখে আইপিএলের মাঝপথে আরসিবির সঙ্গে যোগ দেন। আর তারপর বাকিটা ইতিহাস।
হয়তো মনে মনে চ্যালেঞ্জ করে রেখেছিলেন সুযোগ পেলে পুষিয়ে দেবেন। কিন্তু এভাবে যে সুযোগ এনে দেওয়া হবে তা তিনি হয়তো নিজেও ঘুনাক্ষরে ভাবেননি। আর সুযোগ যখন পেয়েছেন, দু'হাতে আঁকড়ে ধরেছেন। সেই সুযোগ কেমন? সে চ্যালেঞ্জ তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে লখনউ সুপার জায়েন্টস।
এলিমিনেটরে বিরাট কোহলি(Virat Kohli), ফাফ ডুপ্লেসি (Faf Duplesis), গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা(Glen Maxwel) যখন ছাপ ফেলতে ব্যর্থ, তখন ভারতের নিতান্তই ঘরোয়া ক্রিকেটার সুপার জায়ান্টসদের সাধারণ মানে নামিয়ে এনেছিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানটি ২৮ বছর বয়সী রজত পাতিদার ১২ টি চার এবং ৭ টি বিশাল ছক্কা মেরে দলকে মজবুত ভিতে দাঁড় করিয়ে দেন।
রজতের বাবা মনোহর পাতিদার জানিয়েছেন যে তার পরিবার রজতের বিয়ের জন্য ৯ মে তারিখ ঠিক করেছিলেন। কিন্তু আচমকা ডাক মেলায় বিয়ে মুলতবি করে আপাতত জুলাই মাসের শুভ মুহূর্ত দেখছেন। ততদিনে আইপিএল শেষ হয়ে যাবে এবং সেই সময়ে খেলাধুলাও কম থাকবে।