জাতীয় দলের সঙ্গে এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে রয়েছেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে থেকেই তাঁকে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে নিয়ে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
জাতীয় দলে এই মুহূর্তে রয়েছে এক ঝাঁক ওপেনার। তাই তাঁর কোনওভাবেই মূল দলে আসার কথা ছিল না। কেউ চোট না পেলে। আর চোট পেতে হত কোনও প্রতিষ্ঠিত ওপেনার কিংবা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকেই।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা শুভমান গিল চোট পেয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আসন্ন সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন।
আর তাতেই অভিমন্যুর মূল দলে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। যদিও এখনও কোনও খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেনি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট তবে দলের সঙ্গে থাকা অভিমন্যুই দলে ঢুকতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও তাতেও অভিমন্যু প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। কারণ আরও দুজন অতীতের পরীক্ষিত ওপেনার রয়েছেন দলে।
এর মধ্যে লোকেশ রাহুলকে একদম টপ অর্ডারে না খেলানোর সম্ভাবনা বেশি। কারণ আগে রাহুল ওপেনার হিসেবে দলকে তেমন কোনও নির্ভরযোগ্যতা দিতে পারেননি।
তবে শুভমানের ব্যাক আপ হিসেবে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের খেলা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি কিংবা কোচ রবি শাস্ত্রীদের হাবভাবে অন্তত তাই মনে হচ্ছে।
ময়াঙ্ক খেললে অভিমন্যুর খেলার সম্ভাবনা তেমন নেই। তবে অভিমন্যু অবশ্য তেমনভাবে বিষয়টি দেখা উচিৎ নয় বলেই মনে করছেন প্রাক্তন দিকপালরা।
ভারতীয় দলের এখন যা বেঞ্চ স্ট্রেংথ, তাতে প্রথম ১৬ তে থাকাটাও বিশাল ব্যপার। যেখানে পৃথ্বী শ, শিখর ধাওয়ানের মতো ওপেনারদের পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে অন্তত টেস্টে তো বটেই।
তবে সুযোগ পেলে অভিমন্যু যে ভাল করবে সে ব্যাপারে আশাবাদী বঙ্গ ক্রিকেট মহল। তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখা সকলেই জানেন টেকনিকের দিক দিয়ে অভিমন্যু বেশ ভাল।
তার সঙ্গে ভারতীয় দলের সঙ্গে বেশ কিছুদিন থাকার ফলে দলের চাহিদা তিনি ভালই বুঝেছেন। ফলে সুযোগ পেলে একেবারে খারাপ করবেন না তিনি এ ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই।
বিশেষ করে রোহিত শর্মার আক্রমণাত্মক ব্য়াটসম্যানশিপের আদর্শ পরিপূরক হতে পারেন ঈশ্বরণ। তাঁর নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন দলের কাজে লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছরে তিনি অবশ্য একাধিকবার জাতীয় এ দলের হয়ে বিদেশ সফর করেছেন। ফলে আন্তর্জাতিক আঙ্গিনা তাঁর কাছে একেবারে নতুন নয়।
পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স ভাল। এ পর্যন্ত তিনি ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ১৩ টি, লিস্ট এ ম্যাচে ৬ টা এবং টি২০ তে একটি সেঞ্চুরি করেছেন।
ফলে সব ফরম্যাটেই তাঁর ব্যাটিং পারফরম্যান্স নজরকাড়া। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর রান প্রায় সাড়ে চার হাজার, অন্যদিকে লিস্ট এ তে প্রায় তিন হাজার রান রয়েছে। টি২০তে সংগ্রহ পাঁচশো রান।
অভিমন্যু ২০১৮-১৯ মরশুমে রনজি ট্রফিতে বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। সব রকম পরিস্থিতিতে সাড়ে আটশোর বেশি রান করে তিনি জাতীয় নির্বাচনকদের নজরে আসেন।