ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক জয় নিয়ে মুখ খুললেন। ভারতের এই জয়ের আসল কৃতিত্ব সবাই রাহুল দ্রাবিড়কেই দিচ্ছেন। কারণ তাঁর হাত ধরেই তো উঠে এসেছে শুভমান গিল কিংবা মহম্মদ সিরাজের মতো ভারতীয় ক্রিকেট দলের তরুণ তুর্কিরা।
বর্তমানে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির শীর্ষপদে রয়েছেন দ্রাবিড়। যেভাবে তিনি সিরাজ, গিল, নভদীপ সাইনি, ঋষভ পান্থ এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের পারফরম্যান্স আরও শানিত করেছেন, তার জন্য গোটা বিশ্বের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা তাঁর নামে ধন্য ধন্য করতে শুরু করে দিয়েছে।
এই ক্রিকেটাররাই তো ব্রিসবেনে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই টেস্ট সিরিজ়টা ভারত ২-১ ব্যবধানে জিতেছে। সেইসঙ্গে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিও নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছে। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি ভারত নিজেদের কাছে রেখে দিল।
২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় 'এ' দল এবং দেশের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে কোচিং করিয়েছেন। অবশেষে তাঁর হাতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। তবে ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং তাঁদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করেন।
তবে নিজের কোনও কৃতিত্বের কথাই স্বীকার করতে চান না ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ক। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে সানডে এক্সপ্রেস যোগাযোগ করতে গেলে, তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এটা তরুণ ক্রিকেটারদেরই সাফল্য।
দ্রাবিড় লিখেছেন, "হা হা, আমাকে অযাচিতভাবে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই তরুণ খেলোয়াড়রাই প্রশংসার আসল দাবিদার।"
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অন্তিম টেস্ট ম্য়াচে গিল, সিরাজ, পান্থ এবং সুন্দর যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। আর এই পারফরম্যান্সের দৌলতেই ভারত এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে তিন উইকেটে পরাস্ত করে। ৩২ বছর পর এই প্রথমবার গাব্বায় পরাস্ত হল অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের পঞ্চম দিনে ৩২৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবথেকে বেশি রান করেন শুভমান গিল (৯১)। অন্যদিকে পান্থের অপরাজিত ৮৯ রান দলের জয়ের রাস্তা আরও মসৃণ করে।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে মহম্মদ সিরাজ পাঁচ উইকেট শিকার করে অস্ট্রেলিয়ার কোমর কার্যত ভেঙে দিয়েছিলেন। এছাড়া সুন্দর ৮৪ রান (৬১ এবং ২২) করার পাশাপাশি চারটে উইকেটও শিকার করেন।
সিরিজ়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানাধিকারী হন শুভমান গিল। তিনি ২৫৮ রান করেছেন। এছাড়া মহম্মদ সিরাজ তুলে নেন সবথেকে বেশি উইকেট। তিনি তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট শিকার করেছিলেন।