ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯(Under 19 T20 World Cup) মহিলা দলের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বাংলার তিন ক্রিকেটার। প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হল। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় দল। শেফালি ভর্মার দলের হয়ে দারুণ ক্রিকেট খেলছেন তিতাস সাধু (Titas Sadhu), রিচা ঘোষ (Richa Ghosh), ঋষিতা বসুরা (Hrishita Basu)।
১৮ বছর বয়সী তিতাস হুগলীর চুঁচুড়ার মেয়ে। ফাইনালের সেরা তিনিই। চার ওভার বল করে, মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন তিতাস। শুরুতে অ্যাথলেটিক্স শিখলেও পরে ক্রিকেটকেই বেছে নেন তিতাস।
তাঁর বাড়ির সকলেই মোবাইলের পর্দায় ফাইনালের দিকে চোখ রেখেছিলেন। ভারত জেতার পর আনন্দে ফেটে পড়েন তাঁরা। যদিও তিতাসের মা ভ্রমর সাধু বলেন, 'আমি খুশি, তবে ওকে আরও অনেক দূর যেতে হবে।
বাংলা দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার হাত ধরে উঠে আসা ঋষিতা বসু থাকেন হাওড়ার বালিকুঠিতে। তিনিও ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যাটার হলেও দলের প্রয়োজনে উইকেট কিপিংও করতে পারেন ঋষিতা।
ভারতের জয়ের পর থেকেই খুশির আমেজ তাঁর পরিবার ও পাড়ার প্রতিবেশীদের মধ্যে। একের পর এক বাজি ফাটছে তাঁর বাড়ির সামনে। মিষ্টি বিতরণ করছেন পরিবারের সদস্যরা।
বাংলার আরেক ক্রিকেটার রিচা ঘোষ বেশ পরিচিত নাম। ভারতের সিনিয়র দলে ইতিমধ্যেই ১৭টি একদিনের ম্যাচ ও ৩০টি টি২০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন উইকেট কিপার ব্যাটার। শিলিগুড়ির মেয়ে বাংলা দলের হয়ে ভাল খেলার জন্য সুযোগ পেয়েছিলেন সিনিয়র দলে।