বর্তমানে ক্রিকেট একেবারে বদলে গিয়েছে। ফিটনেস এখন একটা বড় অংশ। তাই ফিট থাকতে ক্রিকেটারদের কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলন করতে হয়। দেখা যায়, অনেক ক্রিকেটারই তাঁদের কেরিয়ারের শুরুতে অনেক রোগা ছিলেন, পরে তাঁরা নিজেদের ফিটনেস ফিরে পেয়েছেন।
একইভাবে অনেক ক্রিকেটারই তাঁদের কেরিয়ারের প্রথম দিকে অনেক মোটা থাকলেও, ফিটনেসের কথা মাথায় রেখে তাঁরা ওজন কমিয়েছেন। আসুন জেনে নিই এমন ছয় ক্রিকেটারের কথা যারা আশ্চর্যজনক বডি ট্রান্সফরমেশন করেছেন...
বডি ট্রান্সফরম্যাশনের কথা যদি বলতে হয় তবে অনেক এগিয়ে থাকবেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তিনি এখন ফিটনেস আইকন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সময়, ফিটনেসে মন দেননি বিরাট। পরে ফিটনেসের সমস্যা উপলব্ধি করে একটানা বিশেষ ডায়েট মেনে চলতে থাকেন বিরাট। প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা জিমে কাটান।
টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন পেসার এস. শ্রীশান্ত (S. Sreesanth) ভারতীয় দলকে কিছু ম্যাচে নিজের হাতে জয় এনে দিয়েছেন। তবে আইপিএল স্পট ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। সাত বছরের নির্বাসন হয় তাঁর। মাঠের বাইরে থাকাকালীন শ্রীশান্তের মধ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছে। তিনি এখন বডি বিল্ডারের মতো চেহারা বানিয়ে ফেলেছেন।
ক্রিস গেইল (Chris Gayle) প্রথম দিকে রোগা ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গেইলকে তাঁর ফিটনেসের দিকে আরও মনোযোগ দেন। না হলে তাঁর কেরিয়ারে প্রভাব পড়ত। চোটের জন্য তাঁর কেরিয়ারও সমস্যার মুখে পড়ে। কোনোদিনই উইকেটের মাঝে খুব বেশি দৌড়তে দেখা যায়নি তাঁকে।
শ্রীলঙ্কার স্পিনার মহিষ তিক্ষনাও অসাধারণ রূপান্তর করেছেন। ২০১৭-১৮ সালে, তাঁর ওজন ছিল প্রায় ১১৭ কেজি এবং ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থতার কারণে, তিনি কিছু ম্যাচও খেলতে পারেননি। এর পরে, তিনি জিমে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন এবং ডায়েটে মন দেন। তিনি বর্তমানে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার প্রধান স্পিনার।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার ক্রিস ট্রেমলেট একেবারেই রোগা ছিলেন। কিন্তু অবসর গ্রহণের পর, ট্রেমলেট এখন বডি বিল্ডারের মত চেহারা বাঁনিয়ে ফেলেছেন। আর এখন পেশা হিসেবে ভারোত্তলনকে বেছে নিয়েছেন।