এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ম্যাচে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। একে ব্যাপক ঠান্ডা, তার উপর কৃত্তিম ঘাসের মাঠ। পরপর হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠাই যেখানে চিন্তার সেখানে ভুটানে গিয়ে প্রতিকুল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় লাল-হলুদকে। তবে সেখান থেকে ১ পয়েন্ট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও গোল ধরে তাখতে না পারার পুরনো রোগ ভোগাল লাল-হলুদকে।
খেলার শুরুতে গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করেন মাদিহ তালাল। সল ক্রেসপো ডানদিক থেকে উঠে এসে পেছনের দিকে ক্রস করেন। সেই বল ধরে গোল করেন ফরাসি মিডফিল্ডার। তবে সেই এগিয়ে থাকা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। আট মিনিটেই সমতা ফেরায় ভুটানের দল। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন প্রভাত লাকড়া। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখার পরেও তিনি যে বদলাননি তা ফের বোঝা গেল। স্পট কিক থেকে সমতা ফেরান উইলিয়াম ওপোকু। ১৮ মিনিটেই চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতে হয় লাকড়াকে। তাঁর জায়গায় আসেন লালচুংনুঙ্গা।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করেন ইভান্স আসান্তে। গোল করার লক্ষ্যে সেই সময় গোটা ইস্টবেঙ্গল দল উঠে গিয়েছিল পারো এফসি-র অর্ধে। আবার ভুটানের এই ক্লাবের সমস্ত ফুটবলারই গোল খাওয়া ঠেকাতে নিজেদের অর্ধে ছিলেন। এমন অবস্থায় বল ধরে সোজা ইস্টবেঙ্গল গোলের দিকে ছুটতে থাকেন ইভান্স। বাধা দেওয়ার কেউই ছিল না। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ভুটানের ক্লাব। ৬৯ মিনিটে ডানদিক থেকে উঠে এসে দারুণ ক্রস বাড়ান নন্দাকুমার। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে সোজা গোলে শট করেন ডিমানটাকোস। তবে বারবার সুযোগ নষ্ট করার খেসারত ফের দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
কড়া মার্কিং আর গোল করার দারুণ দক্ষতা পারো এফসিকে এক পয়েন্ট এনে দিল। উইলিয়াম ওপোকুরা যতবার উঠে এসেছেন ততবারই ত্রাসের সঞ্চার হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে। আনোয়ার আলি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। বেশকিছু সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি তালাল ও ডিমানটাকোসও। তবে পরপর হারের পর, এই ড্র কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে অস্কার ব্রুজোর দলকে।