তৃতীয়বার পিছিয়ে গেল আনোয়ার আলির শুনানি। বুধবার এআইএফএফ-এর প্লেয়ার স্টেটাস কমিটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১০ নভেম্বর করে দেওয়া হল। এর আগেও ২ বার এই একই ঘটনা ঘটে। এদিনের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আনোয়ারকে AFC চ্যালেঞ্জ লিগে পাওয়ার ক্ষেত্রে আর সমস্যা রইল না ইস্টবেঙ্গলের। একই সঙ্গে ISL-এ মহমেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও খেলতে পারবেন আনোয়ার।
এর আগে আনোয়ারের মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি বলে মনে করেছিল পিএসসি। এর ফলে শাস্তিও পেতে হয়েছিল তাঁকে। আনোয়ারকে ৪ মাসের জন্য নির্বাসন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি আগামী ২টি ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোনও ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না বলে নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে মোহনবাগানকে ১২.৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি। সেখানেই পুরোনো রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় এবং পিএসসি-কে পুনরায় মামলাটি শোনার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আনোয়ার ইস্যুতে পিএসসি যে রায় দেবে, সেটা রিট পিটিশনের নির্দেশের উপরে নির্ভর করবে। অর্থাৎ রিট পিটিশনের ক্ষেত্রে যে রায় দেওয়া হবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে ইতিমধ্যেই খেলা শুরু করে দিয়েছেন আনোয়ার। তবে দলের অবস্থা বেশ খারাপ। ISL-এ এখনও একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। কোচ বদল হয়ে গেলেও যত অধরাই থেকে গিয়েছে লাল-হলুদের। নতুন ক্লাবের জার্সি গায়ে এখনও পর্যন্ত দাগ কাটতে পারেননি আনোয়ারও। বারবার তাঁর পাশ থেকেই গোল করেছে প্রতিপক্ষ দল। এমনকি ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছে।
ISL-এ টানা ৬ ম্যাচের ৬ ম্যাচ হেরে এখন ভুটানে AFC চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে যাবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। তার উপর ১ সপ্তাহ হয়নি নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব নিয়েছেন। এরকম পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরে ম্যাচ খেলতে গিয়ে যে সমস্যায় পড়বে লাল-হলুদ শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।