প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং টিম ইন্ডিয়ার কোচ অংশুমান গায়কোয়াড (Anshuman Gaikwad) প্রয়াত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। আংশুমানের অবস্থা দেখে কপিল দেব সাহায্যের উদ্যোগ নেন। অংশুমানকে সাহায্য করার জন্য কপিল তাঁর পেনশন দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
মহিন্দর অমর নাথ, সন্দীপ পাতিল, মদন লাল এবং কীর্তি আজাদও তাদের সহযোগী খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) ও সাহায্য করেছিল আংশুমানের চিকিৎসার জন্য। তবে শেষ রক্ষা হল না।
২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালে কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আংশুমান অভিষেক করেন। ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কলকাতায় একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন।
গায়কওয়াড তাঁর ক্যারিয়ারে ২০টি টেস্ট ম্যাচে ১৯৮৫ রান করেছিলেন। গড় ৩০.০৭। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২টি সেঞ্চুরি এবং ১০টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। গায়কোয়াডের সেরা স্কোর ছিল ২০১। তাও পাকিস্তানের বিপক্ষে। গায়কওয়াড ভারতের হয়ে ১৫টি একদিনের ম্যাচও খেলেছেন। যেখানে তাঁর রান ছিল ২৬৯। গড় ২০.৬৯।
৭১ বছর বয়সী অংশুমান ২০৮টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর রান ১২,১৩৬। গড় ৪১.৫৬। ৩৪ টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৪৭টি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার সেরা স্কোর ছিল ২২৫ রান। এটি ছাড়াও, গায়কওয়াড ৫৫টি লিস্ট-এ ম্যাচও খেলেছেন। রান করেছেন ১৬০১। আর গড় ৩২.৬৭।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর, আংশুমান কোচিং করিছেন। ১৯৭ থেকে ৯৯ অবধি ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন। গায়কওয়াড গুজরাত স্টেট ফার্টিলাইজারস অ্যান্ড কেমিক্যালস লিমিটেডে (GSFC) চাকরি করতেন। ২০০০ সালে এই সংস্থা থেকে অবসর নেন।
২০১৮ সালের জুনে, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) গায়কওয়াডকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছিল। আংশুমান গায়কওয়াডের বাবা দত্ত গায়কওয়াডও টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।