বেশ ধুমধাম করেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অরুণ লাল (Arun Lal) ও বুলবুল সাহা (Bulbul Saha)। ৬৬ বছর বয়সী ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিয়ে করেন ৩৭ বছর বয়সী বুলবুলকে। পেশায় স্কুল শিক্ষক বুলবুলের সঙ্গে এক বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ হয় অরুণ লালের। বুলবুল, অরুণ লালের দীর্ঘদিনের বান্ধবী। তিন দিন ধরে চলে বিয়ের অনুষ্ঠান।
কীভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেন অরুণ লাল
ফোনে বুলবুল সাহা আজতক বাংলাকে জানালেন, ''বাড়িতে বাঙালি জামাইয়ের মত মাছ, মিষ্টি, গয়না নিয়ে এসেছিল। আমার বাবা-মা, পিসি-র সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে।' কেক কেটে রেজিস্ট্রি সেরেছিলেন অরুণ লাল ও বুলবুল সাহা। উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন অতিথিও। ঘরোয়া পরিবেশে হয় অনুষ্ঠান। লাল গোলাপের মালা বদল করে হয় রেজিস্ট্রি। সেই সময় বুলবুলের পরনে ছিল সাদা শাড়ি আর সাদা স্লিভলেস ব্লাউজ। অরুণ লাল পরেছিলেন সাদা পাঞ্জাবি আর ওভারকোট। এরপর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানও হয় বুলবুল-অরুণের। পিয়ারলেস ইন-এ হয় সামাজিক বিয়ে।
সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেক অতিথি। সিএবি-র কর্তারা ছাড়াও ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। সৌরভ ছাড়াও সিএবি-র কর্তারাও হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সাবা করিমও। রবিবারের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। রেজিস্ট্রির ছবি ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করে বুলবুল লেখেন, 'অফিশিয়ালি মিসেস লাল...''
দিল্লির হয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক করা অরুণলাল পরে কলকাতায় চলে আসেন। বাংলার হয়ে খেলতে থাকেন। ১৯৮৯-৯০ মরশুমে রঞ্জি জয়ী বাংলা দলের (Cricket Association of Bengal) সদস্য ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর করা ১৮৯ রানের ইনিংস মুগ্ধ করেছিল সকলকে। তবে এখানেই থেকে থাকেননি অরুণলাল। দিল্লির বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচেও ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
তবে বাংলার হয়ে খেলার আগেই ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন প্রাক্তন এই ওপেনার। ১৯৮২ সালে চেন্নাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় অরুণ লালের। সেই ম্যাচে ৬৩ রান করেছিলেন অরুণ লাল। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও সে দেশের মাটিতে ৫১ রান করেন তিনি। ভারতের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন অরুণ লাল। ৭২৯ রান রয়েছে তাঁর। গড় ২৬.০৪। সর্বোচ্চ রান ৯৩। ৬টা হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে অরুণ লালের।
তবে একদিনের ক্রিকেটে একেবারেই সফল হতে পারেননি তিনি। ১৩টি ম্যাচে মাত্র ১২২ রান রয়েছে তাঁর। তবে একটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। ১৯৮২ সালেই ইংল্যন্ডের বিরুদ্ধে কটকে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক করেন অরুণ লাল। ২০০১ সালে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে খেলে ক্লাব ক্রিকেট থেকে অবসর নেন অরুণ লাল।