এশিয়া কাপ হকির ফাইনালে ৪-১ ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত। শুধু এশিয়ার সেরা হওয়া নয়, বিশ্বকাপের যোগ্যতাও অর্জন করে নিলেন হরমনপ্রীত সিংরা। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে গিয়েছে ভারত। সেভাবে দাঁত ফোটাতেই পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। এই নিয়ে চারবার এশিয়া কাপ জিতল ভারত।
ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যান সুখজিৎ। তবে গোলের অন্যতম কারিগর ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত। তাঁর পাশ থেকেই রিভার্স হিটে বল সোজা টপ কর্নারে পাঠিয়ে দেন সুখজিৎ। এরপর পেনাল্টি স্ট্রোক পেয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তবে যুগরাজ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তিনি কাজের কাজ করতে পারলে ব্যবধান আরও বাড়ত। লজ্জায় পড়তে হত দক্ষিণ কোরিয়াকে। মনে রাখতে হবে এই এশিয়া কাপে দল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রথম কোয়ার্টারে আর গোল আসেনি। এর মধ্যেই দ্বিতীয় কোয়ার্টারে যোগরাজের কার্ড দেখা সমস্যায় ফেলে ভারতকে। ১০ জনে খেলতে হয় ২ মিনিট। তবে সমস্যা হয়নি। এর মধ্যেই দিলপ্রীত গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। তাঁর কোণাকুনি নেওয়া শটের কোনও জবাব ছিল না কোরিয়ার ডিফেন্সের কাছে। এরপরের গোলটাও আসে দিলপ্রীতের স্টিক থেকেই। যদিও গোলের কারিগর হরমনপ্রীত। ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পাশ দেন রাজিন্দরকে। তাঁর থেকে বল পান দিলপ্রীত। বল পেয়েই তা গোলে ঠেলে দেন।
শেষ কোয়ার্টারে কিছুটা নাটক অপেক্ষা করছিল। প্রথমে পেনাল্টি কর্নার থেকে ব্যবধান আরও বাড়ায় ভারত। গোল করেন অমিত রুহিদাস। দক্ষিণ কোরিয়ার রাশাররা ভেবেছিলেন শট করবেন হরমনপ্রীৎ। তবে গোলে শট করেন অমিত। যা বুঝতেই পারেননি কোরিয়ান ডিফেন্ডাররা।
শেষদিকে পেনাল্টি কর্নার থেকে একটা গোল করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় দক্ষিণ কোরিয়াকে। পরের বছর বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত। এশিয়া কাপে ভারত ২০০৩, ২০০৭ এবং২০১৭ সালে ৩ বার এশিয়া কাপ শিরোপা জিতেছে। দলটি ১৯৮২, ১৯৮৫, ১৯৮৯, ১৯৯৪ এবং২০১৩ সালে ৫ বার রানার্সআপ হয়েছে।