কলকাতা লিগের (Kolkata League) প্রিমিয়ার ডিভিশনে চার বাঙালি ফুটবলার খেলাতে হবে। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল আইএফএ (IFA)। বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা চেয়েছিল ছয় জন বাঙালি ফুটবলার খেলানো বাধ্যতামূলক করা হোক। তবে বেশকিছু ক্লাব এ নিয়ে প্রবল আপত্তি জানাতে কিছুটা পিছু হটে আইএফএ। এর আগের মরসুমে বিদেশি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল এআইএফএফ। আর এবার বাংলার ফুটবলারদের তুলে আনতে আরও এক উদ্যোগ নিল আইএফএ।
কেন ছয় ভূমিপুত্র বাধ্যতামূলক করতে পারছে না আইএফএ
মূলত ক্লাবগুলির আপত্তির কথা মাথায় রেখেই ছয়ের জায়গায় চার বাঙালি ফুটবলার খেলানো বাধ্যতামূলক করেছে আইএফএ। কারণ, এত অল্প সময়ে ২৬টি ক্লাবের পক্ষে সমমানের ভূমিপুত্র জোগাড় করা কঠিন বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ ক্লাব কর্তারা। সেই কারণেই ছয় ভূমিপুত্রের তত্ত্ব থেকে সরে আসেন সচিব। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে ঠিক হয় আপাতত চারজন ভূমিপুত্র প্রথম একাদশে রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে এই মরসুমে।
তিন বড় ক্লাবের আপত্তি
জানা গিয়েছে, সভায় তিন বড় ক্লাবের কর্তারাই আইএফএ কর্তাদের কাছে পাল্টা প্রস্তাব রাখেন, প্রথম একাদশে ২ জন ভূমিপুত্র রাখার। তাদের যুক্তি ছিল এত অল্প সময়ে এত ভূমিপুত্র জোগাড় করা কঠিন। উদাহরণ তুলে আনা হয় সন্তোষ ট্রফির ট্রায়ালেরও। সেখানে যাট থেকে সত্তরজন ফুটবলারের বেশি যোগ দিতে দেখা যায় না। প্রশ্ন ওঠে তাহলে এই অল্প সময়ে ২৬ টি ক্লাব এত ভূমিপুত্র ফুটবলার পাবে কোথা থেকে? তিন প্রধানের তিন কর্তা ইস্টবেঙ্গলের বাবু চক্রবর্তী, মোহনবাগানের আশিস সরকার ও মহামেডানের বেলাল আহমেদরা এমন প্রশ্ন তোলেন সভায়। তখনই সিদ্ধান্ত হয় ছয়ের বদলে চার ভূমিপুত্র খেলানো হোক এই মরসুমে।
বুধবারের বৈঠকে তিন প্রধান সহ প্রিমিয়ারের সব ক্লাবকেই আসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে তিন প্রধান, ডায়মন্ডহারবার এফসি, ভবানীপুর, খিদিরপুর, ইউনাইটেড স্পোর্টস, সাদার্ন সমিতি, সুরুচি সংঘ, আর্মি সহ একাধিক ক্লাব উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না ম্যাচ ফিক্সিং অভিযোগে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া দুই ক্লাব টালিগঞ্জ অগ্রগামী ও উয়াড়ি ক্লাবের কর্তারা।
বৈঠক শেষ আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, 'আমরা ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছি এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সংখ্যক ভূমিপুত্র জোগাড় করা কঠিন। তাই আপাতত এই মরশুমের জন্য প্রথম একাদশে চারজন ভূমিপুত্র খেলা বাধ্যতামূলক করা হল। তবে পরীক্ষামূলক ভাবে যদি এই চারজন ভূমিপুত্র নিয়ে কোনও সমস্যা না হয় তাহলে আগামী মরশুমে এই সংখ্যাটা বাড়বে তা বলাই যায়। লিগের শেষে ফের বৈঠকে বসব এই বিষয়টি নিয়ে।'