ঘরের মাঠে দারুণ প্রতিশোধ নিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। এফসি গোয়ার (FC Goa) বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় পেয়ে আবারও উজ্জীবিত এটিকে মোহনবাগান। ৯ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ধীরজ সিং-এর ভুলে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos)। এগিয়ে যায় মোহনবাগান। তবে সেই গোল শোধ করে দেন আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। জয়সূচক গোল হুগো বুমোসের (Hugo Boumos)। ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। তবে তা হয়নি আশিক, পেত্রাতোসদের ব্যর্থতায়।
ওড়িশার এফসির সঙ্গে ড্র,নর্থ ইষ্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পরে ফের জয়ের সরণিতে মেরিনার্সরা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ২-১ গোলে জয় এটিকে মোহনবাগানকে প্রথম তিনে তুলে নিয়ে আসল। গোল করে ও করিয়ে ম্যাচের নায়ক দিমিত্রি পেত্রাতোস।
আরও পড়ুন: দেশের দুই তারকা মিডফিল্ডারকে তুলতে পারে মোহনবাগান
আট মিনিটে শুভাশিস বসুর থ্রো থেকে দুরন্ত শট এবং গোল পেত্রাতোসের। দলের সমস্যা যত বাড়ে এটিকে মোহনবাগানের খেলা তত সুন্দর খেলা দেখাতে থাকে। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে প্রায় উনিশ হাজার দর্শকের সামনে মরিয়া ফুটবল খেলতে থাকল এটিকে মোহনবাগান। প্রথম থেকেই হাইপ্রেসিং ফুটবল খেলে এফসি গোয়ার সামনে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় এটিকে মোহনবাগান। সেখান থেকেই ফসল তুলে নেয় তারা। ৯ মিনিটে গোল পেত্রাতসের।
আরও পড়ুন: একের পর এক ফুটবলারের চোট, গোয়ার বিরুদ্ধে সমস্যায় মোহনবাগান
২৪ মিনিটে এডু বেদিয়ার ফ্রিকিক থেকে আনোয়ারের গোলে সমতায় ফেরে গোয়া। প্রেসিং ফুটবলের ফাস আলগা হতেই পাল্টা আঘাত গোয়ার। এই সময় সবুজ-মেরুন রক্ষনকে নির্ভরতা ব্র্যান্ডন হামিল। কার্যত পুরো নব্বই মিনিট দলের রক্ষনকে সামলালেন। বিরতির পরে খেলার রাশ পায়ে নিলেও ৫৩ মিনিটে আশিক কুরিয়ানের পা থেকে বল পেয়ে পেত্রাতোস তা ফাকায় সাজিয়ে দিলে গোল করতে ভুল করেননি হুগো বুমোস।
গোল সংখ্যা বাড়ত যদি আশিক কুরিয়ান,লিস্টন কোলাসোরা সহজ সুযোগ নষ্ট না করতেন। বর্ষশেষ জয় দিয়ে। যা সাময়িক স্বস্তি এটিকে মোহনবাগানের। চোট কাটিয়ে নতুন বছরে ফুটবলাররা দলে ফিরলে এটিকে মোহনবাগান আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তা ছাড়াও নতুন ফুটবলার দলে এলে আরও শক্তি বাড়বে সবুজ-মেরুনের।