আগামী বছর ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের এক দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আফ্রো-এশিয়া পুনরায় চালু করতে চায় এবং ২০২৩ সালে এটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের এশিয়ান একাদশের হয়ে খেলতে দেখা যাবে।
প্রথম মরশুম ২০০৫ সালে হয়েছিল
ক্রিকেটের ইতিহাসে আফ্রো-এশিয়া কাপের আয়োজন করা হয়েছে মাত্র দুবার। ২০০৫ সালে একটি ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলা হয়েছিল। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে তিনটি ওডিআই ছাড়াও একটি টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছিল। যেখানে প্রথম মরশুম শেষ হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে। দ্বিতীয় মরশুমে এশিয়ান একাদশ জিতেছে চারটি ম্যাচেই।
প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে
এসিসির কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইভেন্টের প্রধান প্রভাকরণ থানরাজ ফোর্বসকে বলেন, "আমরা এখনও ক্রিকেট বোর্ডের থেকে নিশ্চিত করে কিছু পাইনি। এই প্রস্তাব উভয় বোর্ডেই জমা দেওয়া হবে। তবে আমাদের পরিকল্পনা একটি এশিয়ান একাদশ রাখা।''
এসিসি-র আরও এক কর্তা দামোদর বলেছেন, ''আমি ভারত ও পাকিস্তানের এই ব্যবধানটি পূরণ করতে চাই এবং খেলোয়াড়দের এক সঙ্গে খেলতে দেখতে চাই। আমি নিশ্চিত খেলোয়াড়রাও এটা চায়। রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চায় তারাও। পাকিস্তান ও ভারতের খেলোয়াড়দের একই দলে দেখাটা দারুণ হবে।''
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে পন্ড ভারত-দঃ আফ্রিকা ম্যাচ, সিরিজ ২-২
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান
খারাপ কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এখনও আয়োজন করা যায়নি। শেষবার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছিল ২০১২-১৩ সালে, যখন পাকিস্তান তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য ভারত সফর করেছিল। ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান দল ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল, টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ এ সমতায় ছিল। ২০২১ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের আসরে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। টি২০ বিশ্বকাপে ১০ উইকেটে বাবর আজমরা হারিয়েছিলেন বিরাট কোহলিদের। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবারও মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তানের দল।