scorecardresearch
 

Bar Puja In Kolkata Maidan: নববর্ষে বারপুজোর রেওয়াজ ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে, জানেন এর ইতিহাস?

রাত পোহালেই বাংলার নতুন বছর (Bengali New Year)। নববর্ষে বারপুজো (Bar Puja) হয় ময়দানের প্রায় সমস্ত ক্লাবে। ফুটবল পাগল বাঙালির জীবনে বারপুজর মাহাত্ম্য বেড়েছে দলবদলের সময় থেকে। ষাট ও সত্তর দশকে চৈত্র মাসের আগে শেষ হত দলবদল। ক্লাবে নতুন মরুশুমের কাঠি পড়ত বছরের প্রথম দিনটিতে। নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হত ওইদিন। বার ছুঁয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে সংকল্প নিতেন পরের মরশুমে দলের অধিনায়ক।

Advertisement
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বারপুজো মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বারপুজো
হাইলাইটস
  • নববর্ষে ময়দানে বারপুজো
  • সেজে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান

রাত পোহালেই বাংলার নতুন বছর (Bengali New Year)। নববর্ষে বারপুজো (Bar Puja) হয় ময়দানের প্রায় সমস্ত ক্লাবে। ফুটবল পাগল বাঙালির জীবনে বারপুজর মাহাত্ম্য বেড়েছে দলবদলের সময় থেকে। ষাট ও সত্তর দশকে চৈত্র মাসের আগে শেষ হত দলবদল। ক্লাবে নতুন মরুশুমের কাঠি পড়ত বছরের প্রথম দিনটিতে। নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হত ওইদিন। বার ছুঁয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে সংকল্প নিতেন পরের মরশুমে দলের অধিনায়ক। বছরের প্রথম দিনে ক্লাব তাঁবুতে পুজোর পর সদস্য সমর্থকদের লাইন দিয়ে লুচি বোদে পন্তুয়ার খাওয়ার লাইনে ঢল নামার ট্র্যাডিশন ছিল মোহনবাগানে (Mohun Bagan)। উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) প্রথমদিকে খাওয়া দাওয়ার জাঁকজমক না থাকলেও এখন পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। 

কী মন্ত্র পড়া হয়?

সাধারণভাবে বারপুজো কলকাতা ছাড়া বিশ্বের কোনও প্রান্তে হয় বলে শোনা যায়নি। কীভাবে এই পুজো শুরু হয়েছিল সেই ইরিহাসও অজানাই থেকে গিয়েছে। এ প্রশ্নের উত্তরে পুরোহিতদের কাছে নানান ধরনের উত্তর পাওয়া গিয়েছে। কেউ বলেন, লক্ষ্মীমন্ত্র। করো মতে, বিশ্বকর্মা পুজোর মন্ত্র। আসলে হিন্দু আচার এ ক্ষেত্রে একেবারেই মুখ্য নয়। মুখ্য হল, মরশুমের শুরুতে দলের ক্যাপ্টেন ও অন্যান্য ফুটবলাদের সঙ্গে সমর্থকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। ক্লাব তখন যেন মিলনক্ষেত্র। একসঙ্গে পুজো দেওয়ার পর পাত পেড়ে খাওয়ার আনন্দই আলাদা। 

আরও পড়ুন: বারপুজোতেও ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা মোহনবাগানের, আসছেন গাভাস্কার

কেন করা হয় বারপুজো?
সাবেকিয়ানা ছেড়ে বাঙালি যতই আধুনিক হোক, পয়লা বৈশাখের কিছু মিথ এখনও তারা ছাড়তে পারেনি। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পয়লা বৈশাখের পর শুরু হত ময়দানের ফুটবল মরশুম। তার আগেই চালু হয়ে যেত দলবদল নিয়ে ক্লাবগুলির লড়াই। তাই বাংলা বছরের প্রথম দিনে সকলকে সাক্ষী রেখে পূজার্চনার মধ্য দিয়ে ধুমধাম করে পালিত হয় বারপুজো। কালীঘাট থেকে পুরোহিত এসে রীতি মেনে করতেন সেই বারপুজো। বারের চারপাশে থাকতেন কিছু অতন্দ্র প্রহরী। যারা পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত বারটিকে পাহারা দিতেন। পাছে কেউ বার ডিঙিয়ে না যায়! আসলে বার ডিঙোলে নাকি ক্লাবের পক্ষে তা অমঙ্গল। এমনটাই মানেন ক্লাব কর্তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: জিতলেই সেমিফাইনালে মোহনবাগান, কীভাবে দেখবেন ATKMB vs JFC ম্যাচ LIVE?

গোটা গ্যালারি ভরে যেত বারপুজো দেখতে। আসলে বারপুজো নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। ক্লাবের কর্তারা মনে করেন বারপুজো করলে গোটা মরশুমটাই ভালো যায়। আবার অনেকে বলেন, বারপুজো করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল, যাতে বিপক্ষের গোলের ক্ষেত্রে বার পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ালেও নিজেদের দলের ক্ষেত্রে তা যেন কোনও সময়ই বাধা না হয়।

Advertisement