ভারতীয় রেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ ( brij bhushan sharan singh)সিংয়ের বিরুদ্ধে এখন অনেক খেলোয়াড়ই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সেই সব খেলোয়াড়ও রয়েছেন যারা গোন্ডার নন্দিনী নগরের রেসলিং স্টেডিয়ামে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েছেন। হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশের অনেক খেলোয়াড় ম্যাচ না খেলেই ফিরছেন। ম্যাচ না খেলেই ফিরে যাচ্ছেন অন্তত ৭ জন।
খেলোয়াড়রা বলছেন, আমরা স্বেচ্ছায় ম্যাচ খেলছি না, দিল্লির যন্তর-মন্তরে বসা সতীর্থদের সমর্থনে না খেলেই ফিরে যাচ্ছি, আমরা আগে যন্তর-মন্তরে যাব, তারপর বাড়ি যাব। উল্লেখ্য, শনিবার থেকে নন্দিনী নগরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা চলছে।
মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ সহ অনেক রাজ্যের খেলোয়াড়রা এই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে এসেছেন। শুক্রবার এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং। খেলোয়াড়রা বলছেন, তাঁদের মনোবল কমে গেছে। হরিয়ানা, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের খেলোয়াড়রা, যারা গোন্ডায় জাতীয় সিনিয়র র্যাঙ্কিং মিটে পৌঁছেছিলেন, দিল্লির যন্তর মন্তরে কুস্তিগীরদের ধর্নায় ফিরে যাচ্ছেন। হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে খেলোয়াড়রা ফিরে যাচ্ছেন। খেলোয়াড়রা বলছেন যে, আমাদের সিনিয়রদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
খেলোয়াড়রা জানিয়েছেন যে, এই মিটে হরিয়ানা থেকে সর্বাধিক সংখ্যক খেলোয়াড় এসেছেন। তবে যেভাবে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে খেলোয়াড়রা এই মিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। এর আগে হরিয়ানা-পাঞ্জাব থেকে প্রায় ৫ হাজার খেলোয়াড় অংশ নেন।
আজও দিল্লির যন্তর মন্তরে কিছুই বদলায়নি। আজও সকাল ১০টা নাগাদ খেলোয়াড়রা যন্তর মন্তরে জড়ো হতে শুরু করে। কুস্তিগীররা ধর্নায় বসেন। এই লড়াই দীর্ঘায়িত হতে চলেছে, কারণ রেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং পদত্যাগ করতে প্রস্তুত নন। ক্রীড়া মন্ত্রকের লাল সংকেত ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের ওপর কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এমনকি গত মধ্যরাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে খেলোয়াড়দের বৈঠকেও বরফ গলেনি। বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং পিছু হটতে প্রস্তুত নন এবং কুস্তি খেলোয়াড়রা তাদের অধিকারের জন্য এই লড়াইয়ে হাল ছাড়তে প্রস্তুত নয়।
আরও পড়ুন- 'জুনিয়ার মেয়েদের মতো একই ফ্লোরে শুতেন,' ফের বিস্ফোরক অভিযোগ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে