ডুরান্ড কাপ দিয়েই শুরু হতে চলেছে এ বারের ফুটবল মরশুম। আর সেই ডুরান্ড কাপে প্রথম ম্যাচই ডার্বি। ১৬ আগস্ট 'খেলা হবে' দিবস। সেই দিনই ডুরান্ড কাপ শুরুর পরিকল্পনা করেছে সেনাবাহিনী। তিন প্রধানকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সেনা কর্তারা। ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। সেখানেই ঠিক হয়, বড় ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে ডুরান্ড কাপ।
গত মরশুমে ছিল না ইস্টবেঙ্গল-এটিকে মোহনবাগান
গত মরশুমে দুই বড় ক্লাব ডুরান্ডে অংশ নেয়নি। ফলে ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্টের জৌলুস কিছুটা কমে গিয়েছিল। আর সেই কারণেই এই দুই প্রধানকে ফেরাতে বদ্ধপরিকর ছিলেন সেনা কর্তারা। তাঁরা ভাল ভাবেই জানেন, আইএসএল-এর অন্য ক্লাব গুলি যোগ দিলেও তিন প্রধানের খেলা খুব জরুরী তাদের জন্য।
একই গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান
এবারের ডুরান্ড কাপে ২০টি দল অংশ নেবে। ১১টি আইএসএল দলের পাশাপাশি পাঁচটি আই লিগ ক্লাব ও ৪টি সেনা দল খেলবে এবারের ডুরান্ড কাপে। পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হবে চারটি দলকে। একই গ্রুপে রাখা হবে ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানকে। প্রথম ম্যাচ ডার্বি করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা থাকলেও সেটা কাটিয়ে উঠতে সমস্যা হবে না বলেই মত সেনাবাহিনীর। আর ডার্বি দিয়েই ডুরান্ড শুরু হলে উন্মাদনা বাড়বে কলকাতার দর্শকদের। সেই কথা চিন্তা করেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার কথা ২৪ সেপ্টেম্বর।
ডুরান্ডের আগে কতটা তৈরি দুই প্রধান
ডুরান্ড দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের মরশুম। আগস্ট মাসের আগেই দল গঠন করে অনুশীলনে নেমে পড়তে হবে দুই প্রধানকে। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির মৌখিক চুক্তি হলেও সই হয়নি। ফলে অনেক ফুটবলারই নিশ্চয়তার অভাব বোধ করছেন। ট্রান্সফার মার্কেটে ঝাঁপালেও খুব ভাল সাড়া পাচ্ছেন না লাল-হলুদের রিক্রুটাররা। ফলে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়েই আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, এটিকে মোহনবাগান মোটামুটি দল গুছিয়ে নিচ্ছে। প্রবীর দাস, রয় কৃষ্ণর মত ফুটবলারদের জায়গায় নতুন ফুটবলাদের নিয়ে নিচ্ছে তাঁরা।