সুপার কাপের প্রথম ম্যাচেই জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। এই জয়ের ফলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা কিছুটা হলেও পরিস্কার করে ফেলল লাল-হলুদ।
৩৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোল করে যান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দীর্ঘদিন পরে গোলে ফেরায় স্বস্তি ফিরল লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। একটা নয় জোড়া গোল করে দলকে জেতার রাস্তা দেখালেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আরেকটি গোল করেন সউল ক্রেসপো। তবে ইস্টবেঙ্গল আজ আরও গোলে জিততে পারত।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শুরু করেন ক্লেইটনরা। বাঁ দিক থেকে বারেবারে থংবোই সিংটোদের গোলের কাছে পৌঁছে যেতে থাকেন তাঁরা। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী মনোজ মহম্মদরা তখন কোনওমতে ডিফেন্স সামলাচ্ছেন। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারের শট পোস্টে লেগে ফেরে। নইলে প্রথমেই এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। দু’মিনিট পরে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি ক্লেইটন। ৩৩ মিনিটের মাথায় সেই ক্লেইটনের গোলেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। রাকিপের ক্রস পা বাড়িয়ে টোকায় গোল করেন ক্লেইটন। গোল খাওয়ার পরে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে হায়দরাবাদ। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। বিরতির ঠিক আগেই সমতা ফেরান রামলুনচুঙ্গা। লাল-হলুদ রক্ষণের ভুলে গোল করেন তিনি। আর এটাই চিন্তায় রাখবে কুয়াদ্রাতকে।
৫৩ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে লাল-হলুদকে আবার এগিয়ে দেন অধিনায়ক ক্লেইটন। তবে হায়দরাবাদও লড়াই ছাড়েনি। ফলও মেলে হাতেনাতে। ৭৭ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ বক্সে চুঙ্গামারকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের বাঁ দিকে দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন নিম দোরজি। তবে গোল খেলেও এক বারের জন্যও চাপে পড়েনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে গোল খাওয়ার পরের মিনিটেই আবার এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বোরহা হেরেরার কর্নার থেকে জোরালো হেডে গোল করেন সউল ক্রেসপো। আর এক বার পরাজিত হতে হয় হায়দরাবাদের গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমনিকে। এরপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি হায়দরাবাদ।