scorecardresearch
 

East Bengal Durand Cup: ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত কামব্যাক, নর্থ-ইস্টকে হারিয়ে ডুরান্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

পিছিয়ে পড়ে এগিয়ে আসা ইস্টবেঙ্গলের কাছে নতুন নয়। তবে গত কয়েক বছরে যে লড়াইটাই যেন হাওয়া হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের থেকে। সেই লড়াই ফেরালেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সেই নন্দকুমার। ডার্বি গোলের পর, দল যখন সেমিফাইনালে ১-২ গোলে পিছিয়ে। হাতে মাত্র ১ মিনিট সময়। সেই জায়গা থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বলটা গোলে প্লেস করে নায়ক সেই নন্দা। টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।

Advertisement
ইস্টবেঙ্গলকে ফাইনালে তুলে গিলের উচ্ছ্বাস ইস্টবেঙ্গলকে ফাইনালে তুলে গিলের উচ্ছ্বাস

পিছিয়ে পড়ে এগিয়ে আসা ইস্টবেঙ্গলের কাছে নতুন নয়। তবে গত কয়েক বছরে যে লড়াইটাই যেন হাওয়া হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের থেকে। সেই লড়াই ফেরালেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সেই নন্দকুমার। ডার্বি গোলের পর, দল যখন সেমিফাইনালে ১-২ গোলে পিছিয়ে। হাতে মাত্র ১ মিনিট সময়। সেই জায়গা থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বলটা গোলে প্লেস করে নায়ক সেই নন্দা।


টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। প্রথম ১৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে নর্থইস্ট। খেলার শুরুতেই লাল-হলুদ রক্ষণকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকলেও গোল লক্ষ্য করে শট মারতে পারেননি ফাল্গুনী সিং। শুরু থেকেই ভালো খেলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে গোল খেয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ে। এ দিনও কুয়াদ্রাত শুরুতে নামাননি ক্লেইটন সিলভাকে। 


দ্বিতীয়ার্ধে পার্দোকে তুলে বোরহা হেরেরাকে নামাতেই ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে লাল-হলুদ। তবে সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয় ফাল্গুনির গোল। ৫৬ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় নর্থ-ইস্ট। ফাল্গুনির বাঁ পায়ের শট দ্বিতীয় পোস্টে লেগে জালে ঢুকে যায়। দুই গোল খেয়ে যাওয়ার পর ক্লেইটনকে নামান কুয়াদ্রাত। দারুণ খেললেন ফাল্গুনী। একটা গোল করানোর পাশাপাশি নিজেও গোল করলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তিনিই পার্থক্য গড়ে দিলেন। যতবার বল ধরেছেন ততবারই কেঁপে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। দুই গোলের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে একই দৃশ্য। পাশাপাশি নিজেদের ডিফেন্স মজবুত রেখে, প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে তারা।

ইস্টবেঙ্গলের উইং প্লে ভালো না হওয়ায় খেলা ধরতেই পারেনি লাল-হলুদ। ৭৭ মিনিটে নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে খেলায় ফেরান দিনেশ সিং। ডানদিক থেকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে পাস পেয়ে যান নাওরেম মহেশ সিং। তাঁর শট শেষ মুহূর্তে দিনেশের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিছুই করার ছিল না মিরশাদ মিশুর। গোল পেয়েই সমতা ফেরাতে ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল। শেষ মুহূর্তে গোল করেন নন্দা।

Advertisement

 
ইস্টবেঙ্গল প্রথম শট মারেন ক্লেইটন। মিরশাদের হাতে লাগলেও বল জালে জড়ায়। নর্থ ইস্টের প্রথম শট মারেন ইপসন। গিলকে বোকা বানিয়ে উল্টোদিকে ফেলে গোল করেন তিনি।ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় শট মারেন ক্রেসপো। মিরশাদকে সুযোগই দেননি তিনি।  নর্থ ইস্টের দ্বিতীয় শট গনি নিগামও গোল করেন গিলকে দাঁড় করিয়ে। ইস্টবেঙ্গল তৃতীয় শট মারেন বোরহা। এক্ষেত্রেও মিরশাদের হাতে লেগে বল গোলে ঢোকে। পার্থিব গোগইয়ের শট সেভ করেন গিল। সেই শট ধার্য না হলেও, পরের শট ক্রসবারে মারেন নর্থ ইস্ট ফুটবলার। গোল করেন মহেশ। শেষে গোল করে দলকে জেতান সেই নন্দা।  

Advertisement