সাত ম্যাচ পরেও ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ঝুলিতে মাত্র ১ পয়েন্ট। আইএসএল-এর (ISL) একেবারে শেষে থাকা ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon) যদিও আশাবাদী প্লে অফে যাওয়ার ব্যাপারে। কীভাবে লাল-হলুদ প্রথমবার শেষ ছয়ে যেতে পারে সে অঙ্কও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে আপাতত, সে বিষয় নিয়ে না ভেবে, ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
কোন অঙ্কে ইস্টবেঙ্গল পৌঁছতে পারে প্লে অফে?
দলকে ব্রুজোর বার্তা, 'এ বছর আমাদের চারটে হোম ম্যাচ আছে। সেগুলো জিততেই হবে। তাছাড়া দু'টি অ্যাওয়ে ম্যাচও আছে। বছর শেষের আগে একটিও ম্যাচ হারলে চলবে না। তাহলেই আমরা প্রথম ছয়ের কাছে চলে আসব।' কোচের এই হিসাব মেলাতে শুক্রবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জিততেই হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। সেই ম্যাচের রণকৌশল কেমন হতে পারে, সেটারও কিছুটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে।
কোন স্ট্র্যাটেজিতে নর্থ ইস্টকে হারাতে চায় ইস্টবেঙ্গল?
রক্ষণাত্মক রণনীতিতে বিশ্বাসী নন স্প্যানিশ কোচ। মাদিহ তালালদের তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, 'শুরুতেই গোল তুলে নিয়ে ওদের চাপে ফেলে দাও। গোল পাওয়ার পর আমরা শুধু রক্ষণ আগলে ম্যাচ বের করে নেব, এমনটা নয়। ঘর গুছিয়ে প্রতি আক্রমণে ম্যাচের বাকি সময় খেলার মানসিকতা রেখো না। ৯০ মিনিটই ওদের চাপে রাখতে হবে। হাই প্রেসিং ফুটবল খেললে ওরাও লং বল খেলার চেষ্টা করবে। তাতে সমস্যা নেই। দু'প্রান্তে আমাদের গতিশীল ফুটবলার আছে।' অনুশীলনেও সেই পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মূলত ৪-৩-৩ ছকে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করাচ্ছেন অস্কার। মহম্মদ রাকিপ, লালচুংনুঙ্গা, আনোয়ার আলি ও হেক্টর ইয়ুস্তেকে নিয়ে রক্ষণ সাজান ব্রুজোন। হেক্টর ও হিজাজি মাহেরকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাচ্ছেন। মাঝমাঠে ছিলেন সৌভিক চক্রবর্তী, সল ক্রেসপো ও জিকসন সিং। আর আক্রমণভাগে পিভি বিষ্ণু ও তালাল দু'প্রান্ত দিয়ে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসের উদ্দেশে নাগাড়ে ক্রস ভাসাচ্ছেন।
পাশাপাশি সেটপিস কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও জোর দিতে চাইছেন অস্কার। আর সেখান থেকেই তিন পয়েন্ট তোলা লক্ষ্য স্প্যানিশ কোচের। এখনও অবধি এ মরসুমে আইএসএল-এর একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। একটা পয়েন্ট এসেছে গত ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে ড্র করে। সেই ম্যাচে ৯ জনে খেলেও লাল-হলুদ ডিফেন্স গোল দুর্গ রক্ষা করায় অনেকটাই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই তাি ঘুরে দাড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল।