নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে নামছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। বুধবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে নামছে লাল-হলুদ। শুধু তিনি নন বর্তমান ইস্টবেঙ্গল দলে বিএফসির প্রাক্তনী কম নেই। ক্লেইটন সিলভা, নিশুকুমার, হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা রয়েছেন। পুরানো দলের বিরুদ্ধে নামার আগে তাঁরাও আবেগ সরিয়ে পেশাদারী কাঠিন্যে জয়ের লক্ষ্যে চোখ রাখছে। তবুও চিন্তা ক্লেইটনের ফিটনেস নিয়ে।
হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দুই গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। এই জয় পুরো দলকে তাতিয়ে দিয়েছে। তবুও তিনি একশো শতাংশ ফিট কি না সংশয় রয়েছে। এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে লাল হলুদ শিবিরে যোগ দিয়েছেন লালচুননুঙ্গা। জর্ডনের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের প্র্যাকটিস শুরু করেছেন। পাদ্রোকে পাশে নিয়ে কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, ’বেঙ্গালুরু গত মরশুমের ফাইনালিস্ট দল। তিনটে ফাইনাল খেলেছে। ডুরাণ্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ওদের ঘরের মাঠে খেলা। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তবে আমাদের চেয়ে ওদের ওপর চাপ বেশি।‘
প্রতিপক্ষের সমস্যা নিয়ে আত্মতুষ্ট হওয়ার চেয়েও কার্লেস কুয়াদ্রাত নিজের দল নিয়ে চিন্তিত। বলছেন, ‘বেঙ্গালুরু শক্তিশালী দল। কয়েকবছর ধরে ওরা ভালো পারফর্ম করে আসছে। আমাদের নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। আমি যখন ওখানে কাজ করেছি তখন সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি। আমাদের সবকিছু সামলে খেলতে হবে। আইএসএলের প্রতিটি ম্যাচের ফলাফল খুব ছোট ব্যবধানে হচ্ছে। আমাদেরও হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হতে চলেছে।‘
ভালো খেললেই শুধু হবে না। ধারাবাহিকতাও বজায় রাখতে হবে। সেটাও দলের ফুটবলারদের মনে করিয়ে দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। কার্লেস বলেন, ‘আমাদের ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। এখনও পর্যন্ত আটটি ম্যাচ চলতি মরসুমে খেলেছি। প্রথমবার কলকাতার বাইরে খেলতে নামব। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমরা একটা নতুন প্রকল্প শুরু করেছি। ক্লাবের কয়েকজন অনুর্ধ ১৭ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাবে। ক্লাব ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে। তার সাফল্যের জন্য সময় দরকার। আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। প্রতিটি ম্যাচ ধরে আমরা এগোতে চাই।‘