দল গঠনে দারুণ কার্যকরি ভূমিকা নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। একের পর এক বিদেশি তারকাকে সই করানোর পাশাপাশি এবার ভারতীয় ফুটবলারদের সই করানোর ক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করছে লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। মাদিয়া তালালের পাশাপাশি দিমিত্রিয়াস ডিমান্টাকোসকে চূড়ান্ত করেছে দল। কেরলের প্রাক্তনী সই করেছেন দুই বছরের চুক্তিতে। পাশাপাশি হায়দরাবাদ থেকে সাজি ভাইদেরকেও দলে নিয়েছে তারা।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান তারকা জর্ডন এলসেকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টের। পাশাপাশি দেশীয় ফুটবলারদের চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা থেকেছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের। ডেভিড লালসাঙ্গা থেকে শুরু করে প্রভাত লাকরা এবং অ্যালেক্স সাজির মতো ফুটবলারদের আগেই নিশ্চিত করেছিল দল। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, অ্যালেক্স-এর ভাই অ্যালেন সাজিও এবার দেশের শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবে খেলতে আগ্ৰহী। তরুণ এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে বাড়তি আশা রাখছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। উল্লেখ্য, তার দাদা অ্যালেক্স সাজিকে নতুন মরশুমের জন্য হায়দরাবাদ এফসি থেকে তুলে আনতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। সব ঠিকঠাক থাকলে দুই ভাইকেই দেখা যেতে পারে লাল-হলুদ জার্সিতে। নিঃসন্দেহে তা বড়সড়ো পাওনা হবে ফ্যানদের কাছে।
বলাবাহুল্য, গত সিজনে রিলায়েন্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগে ইয়ং চ্যাম্পসের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল অ্যালান সাজির। সেজন্য তাঁকে সই করিয়ে নেওয়ার কথা ভেবেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নতুন ফুটবল মরসুমে নিজেদের মেলে ধরাই একমাত্র লক্ষ্য মশাল ব্রিগেডের। সেজন্য, দলের প্রথম একাদশের পাশাপাশি রিজার্ভ বেঞ্চকেও শক্তিশালী করতে চাইছে এই প্রধান।
তবে শুধু বড় নামের কারণে নয়, ভাল মানের ফুটবলার তুলে আনার চেষ্টা করছে ইস্টবেঙ্গল। সে কারণে ইয়ুথ ডেভলপমেন্টে বিরাট জোর দিচ্ছে লাল-হলুদ। সেই কারণেই একে একে ভাল মানের ফুটবলার তুলে আনছে তারা। পাশাপাশি বাঙালি ফুটবলারদেরও জায়গা দিচ্ছে দলে। অ্যালেন সাজিকে তুলে আনা তারই উদাহরন। পাশাপাশি সায়ন বন্দোপাধ্যায়ের মতো ফুটবলারও উঠে এসেছেন গত মরসুমে। তিনি যেমন মূল দলে খেলেছেন, তেমনই খেলেছেন ডেভেলপমেন্ট লিগেও।