অনুশীলনে কুঁচকিতে চোট পাওয়ায় দুই মাস মাঠের বাইরে সাইডব্যাক নিশু কুমার (Nishu Kumar)। দলে আরও অনেক ফুটবলারের চোট আঘাত সমস্যা রয়েছে। ২৯ জুলাই থেকে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2024) অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সেই কারণেই মোহনবাগানের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন প্রীতম কোটাল, রাহুল কেপি ও ভিগনেশ দক্ষিণামূর্তিকে সই করতে ঝাঁপাল লাল-হলুদ। গতবারের রানার্স ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবারের ডুরান্ড কাপেও সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদের মধ্যে নিশুর বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে ভিগনেশকে। তবে লাল-হলুদ জনতার জন্য আরও এক আশার খবর, চোট কাটিয়ে সুস্থ হওয়ার পথে সল ক্রেসপো। তিনি বেশ কয়েকদিন অনুশীলন না করলেও শুক্রবার নেমেছেন দলের প্র্যাক্টিসে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন তারকাকে সই করিয়ে চমক দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এর সঙ্গে প্রীতম কোটাল যোগ দিলে ডিফেন্স আরও শক্তিশালি হবে তা বলাই যায়। পাশাপাশি আক্রমণের ধার আরও বাড়বে রাহুল কেপি এলে। প্রীতমকে এর আগেও সই করাতে চেয়েছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। তবে সেই সময় এই ডিফেন্ডার জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পারবেন না।
প্রীতমকে টার্গেট লাল-হলুদের
সরাসরি আক্রমণভাগের ফুটবলার না হয়েও পিছন থেকে গুরুত্বপূর্ণ বল বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি অনেক নামীদামী বিদেশি ফুটবলারকে অবলীলায় টেক্কা দিয়েছেন। গত মরসুমে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ২৭টা গোল করলেও ইস্টবেঙ্গলকে হজম করতে হয়েছে ২২ ম্যাচে ২৯ গোল, ফলে বারবার ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের দুর্বলতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ভালো বিদেশি স্টপার থাকলেও ভারতের প্রথম সারির ডিফেন্ডার ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। যার অভাব বারবার ভুগিয়েছে লাল-হলুদকে। সেই সমস্যা মেটাতেই প্রীতমকে দলে নিতে চাইছে লাল-হলুদ। প্রীতম কোটাল একই সঙ্গে সেন্টার ব্যাক এবং রাইট ব্যাক দুই পজিশনেই খেলতে পারেন সঙ্গে তাঁর অভিজ্ঞতাও দলকে সাহায্য করতে পারেন।
কেন রাহুলকে নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল?
২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে নজর কাড়েন রাহুল। এরপর আই লিগ, আইএসএল-এও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই তরুণ। এবার তাঁকে দলে নিয়ে আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। নাওরেম মহেশ সিং, নন্দকুমার শেখরের সঙ্গে রাহুলও থাকলে লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সবাইকে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। রাহুলের গতি আছে। তাঁর ড্রিবলিং, পাসিংও ভালো। এই দক্ষতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল।