এক মরসুমে ১০টা অ্যাসিস্ট। ১০ বছরের আইএসএল-এ যা সর্বোচ্চ। মরসুম শেষ করার আগে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিলেন পঞ্জাব এফসি-র মাদিয়া তালাল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুটি অ্যাসিস্ট। শোনা যাচ্ছে, পরের মরসুমে তিনি লাল-হলুদের জার্সিই পরতে চলেছেন। আর তিনিই শেষ ম্যাচটা কমলা জার্সি গায়ে যা খেললেন তাতে এবারে না হলেও, পরের মরসুম নিয়ে আশাবাদী হতে পারেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
প্লে অফে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত লাল-হলুদকে। তবে তাতেই কাজটা শেষ হত না অপেক্ষা করতে হত রবিবারের ম্যাচ অবধি। বুধবারের ম্যাচে শুরু থেকেই পঞ্জাব প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। অভিষেকের ডানদিক থেকে করা ক্রস থেকে দারুণ শটে গোল করে যান পঞ্জাবের উইলমার জর্ডন গিল। ম্যাচের ১৯ মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পঞ্জাব। তবে সেই এগিয়ে থাকা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দুরন্ত শটে গোল করেন সায়ন বন্দোপাধ্যায়। সালার ভুল রিসিভিং সুযোগ তৈরি করে দেয় সায়নের কাছে। তবে সেখান থেকেও গোল করা সহজ ছিল না। বেশ কিছুটা বল টেনে নিয়ে যান তিনি। ভেতরের দিকে ঢুকে এসে শট মারেন গোলে। দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে তা ঢুকে যায় গোলে।
প্রথমার্ধের শেষদিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ম্যাচের নায়ক তালাল। তবে এক্ষেত্রে খাবরা ও কমলজিৎ তাদের দায় এড়াতে পারেন না। ডান দিক থেকে কার্যত বিনা বাধায় ঢুকে গিয়ে গোল করে আসেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের ফাঁকা ডিফেন্সের সুযোগ কাজে লাগান তালাল। একাই ছারখার করে দেন তিনি। আরও একটি গোল করান তিনি। ফলে ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। প্লে অফে চলে গেল চেন্নাইয়েন এফসি। ইস্টবেঙ্গল সদস্যদের আক্ষেপ তালাল শেষ ম্যাচে এমনটা কেন করলেন। তবে তিনি যে চরম পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তা এক কথায় শিকার করছেন সকলেই।