কবে ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) সই করবেন রবসন রবিনহো (Robson Robinho)? এই প্রশ্ন বেশ কয়েকদিন ধরেই লাল-হলুদ জনতার মনে ঘুরছে। আগেই জানানো হয়েছিল ক্লেইটন সিলভাকে (Cleiton Silva) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। মূলত দুই কারণেই আটকে রয়েছে এই সইয়ের ব্যাপারটা। মনে করা হচ্ছে, সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে রবসনকে সই করাতে পারে লাল-হলুদ।
কবে ইস্টবেঙ্গলে আসতে পারেন রবসন
আগামী ৩০ নভেম্বরের পর রবসনের সঙ্গে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোর মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। তবে চুক্তি শেষ হলেও ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার হতে গেলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কারণ বয় সাধছে আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (ITC)। একমাত্র ট্রান্সফার উইন্ডোর মধ্যেই একজন ফুটবলার আরেকটি ব্লাবে যাওয়ার আইটিসি পেয়ে থাকেন।
যেহেতু রবসনের চুক্তি নভেম্বরে শেষ হচ্ছে, তাই তাঁকে বসুন্ধরার থেকে এই সার্টিফিকেট পেতে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু অবধি অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ নতুন বছরে রবসন আসতে পারেন ইস্টবেঙ্গলে। তার আগে এই সই হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই।
আনোয়ার ইস্যুতেও সতর্ক ইস্টবেঙ্গল
এছাড়া আরেকটি কারণ হল, ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাব্য ট্রান্সফার ব্যান। ৩০ নভেম্বর আনোয়ার কেসের শুনানি। সেদিন সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই লাল-হলুদ কর্তারা অপেক্ষা করতে চান। ট্রান্সফারা ব্যান যদি নাও হয়, সেক্ষেত্রেও ক্লেইটনকে ছাড়া সমস্যার। তাঁকে ছাড়তে গেলে বাকি মরশুমের বেতন দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আলোচনা চলছে তাঁকে এএফসি সালেঞ্জ লিগের জন্য রাখা যায় কিনা।
এদিকে এআইএসএফ-এর সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক ছিল ইস্টবেঙ্গলের। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে লাল-হলুদের করা অভিযোগের সঙ্গে অনেকাংশেই সহমত। তারাও চাইছে দ্রুত 'ভার' আনতে, তবে বিশাল আর্থিক খরচের দিকটাও এ আইএফএফকে ভাবাচ্ছে।