লিগের প্রথম ছয় ম্যাচে খাতাই খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি ম্যাচে মহমেডানের বিরুদ্ধে তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া অস্কার ব্রুজোর দল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ এখন অতীত। অস্কারের ভাবনায় এখন শুধুই কলকাতা ডার্বি। শহরে আসার দিনেই নিজের জীবনের প্রথম কলকাতা ডার্বি হেরেছিলেন লাল-হলুদ হেড কোচ। চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবারে তাঁর সামনে আরও একটা ডার্বি। প্রতিপক্ষ মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর এই ম্যাচেই ভাগ্যের চাকা ঘোরতে বদ্ধপরিকর ব্রুজো।
তাই শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বললেন, 'শেষ ডাবিতে আমরা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততে পারিনি। আমি দেখেছিলাম যে সমর্থকরা হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়ছে। তাই এবারে চাইব ডার্বিতে সমর্থকদের একটা জয় উপহার দিতে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।' শুক্রবারের অনুশীলনে চনমনে মেজাজেই পাওয়া গেল দিমানতাকোস, জিকসনদের। এদিন শুরুতে দশ মিনিট ফিজিকাল ট্রেনিং করানোর পরে, বল পায়ে অনুশীলনে নেমে পড়েন মদিহ তালালরা। দুই দলে ভাগ করে বেশ কিছুক্ষন উইংভিত্তিক আক্রমণের অনুশীলন করান ব্রুজো। গোল তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে উইং দিয়ে আক্রমণের দিকে বাড়তি লক্ষ্য দিলেন লাল-হলুদ হেড কোচ।
এরপরে ডিফেন্স বনাম আক্রমণভাগের অনুশীলন চলল বেশ কিছুক্ষণ। একদিকে রাকিপ, জিকসন, আনোয়ার, লালচুং নুঙ্গাদের রেখে দিমি, তালাল, ব্লেইটনদের দিয়ে একের পরে আক্রমণ তুলে আনলেন ক্রুজো। পাশাপাশি চলল ফ্রি-কিক এবং কর্ণার থেকে গোল তুলে নেওয়ার অনুশীলন। সেট পিসে নানারকম আরিয়েশন রেখে গোল করার অনুশীলন করলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তবে এদিন দলের সঙ্গে শুরুতে ফিজিকাল ট্রেনিং করার পরে অনুশীলন করেননি নন্দকুমার। তারপরে ফিজিও এবং দলের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনি। যদিও মনে করা হচ্ছে চোট আশঙ্কা থাকলেও, শনিবার ডার্বিতে নন্দর খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁর দলে যে স্বদেশি বা বিদেশি ফুটবলার বলে আলাদা কোনও কথা নেই সেটাও জানিয়ে দিলেন ব্রুজো। তিনি বলেন, 'আমি দলের মধ্যে স্বদেশি বা বিদেশি ফুটবলার বলে আলাদা করে কোনও মাপকাঠি রাখতে চাই না। এখানে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। মাঠে কে নিজের সেরাটা দিচ্ছে সেটাই আমার কাছে গুরুত্ব পায়। আমি সেভাবেই দল সাজাই।'
গোলে গিল , দুই সাইড ব্যাক রাকিল এবং লালচুনুঙ্গা, মাঝে জিকসন ও আনোয়ার। মাঝে খেলবেন সউল, সৌভিক। একটু উপরে তালাল। এছাড়া রাইট উইংয়ে মহেশ এবং বাঁ দিকে নন্দকুমার। সামনে দিমানতাকোস।