east bengal, mohun bagan ইয়ুথ লিগের ডার্বিতে বয়স ভাঁড়িয়ে খেলার অভিযোগে বড় শাস্তির মুখে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। অনূর্ধ্ব-১৭ ডার্বি ম্যাচে বয়স ভাঁড়ানো হয়েছে বলে ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও দিয়েছিল তারা। সেই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে এবার ব্যবস্থা নিতে চলেছে এআইএফএফ (AIFF)। এর জেরেই বড় শাস্তির মুখে লাল-হলুদ ও তাদের দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার।
কী শাস্তি পাচ্ছে লাল-হলুদ?
ইস্টবেঙ্গলের এক ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি জাল আঁধার কার্ড ব্যবহার করে খেলেছেন এই ডার্বি ম্যাচে। পাশাপাশি আরও কয়েকজন ফুটবলারের বিরুদ্ধে বয়স লুকিয়ে খেলার অভিযোগও ছিল। ১৭-র বেশি বয়স হলেও এই ম্যাচে নেমে পড়েছিল তারা। তাদের সবাইকেই সাসপেন্ড করার পথে হাঁটছে এআইএফএফ। মৌখিক ভাবে দুই ক্লাবকেই নাকি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কথা। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আর এই অভিযুক্ত ফুটবলারদের খেলায়নি ইস্টবেঙ্গল। তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল, বিপদ আঁচ করেই ফুটবলারদের বাদ দিয়েছে লাল-হলুদ।
বড় শাস্তি হতে পারে ইস্টবেঙ্গলেরও
শুধুমাত্র প্লেয়ারদের শাস্তি নয়, সমস্যায় পড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল। গোটা দলকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হতে পারে। আবার ডার্বি ম্যাচে অনিয়মের এই অভিযোগ ওঠায়, সেই ম্যাচের পয়েন্টও কেটে নেওয়া হতে পারে। তবে কী ধরনের শাস্তি হবে তা এখন এআইএফএফ ডিসিপ্লিনারি কমিটি খতিয়ে দেখছে। ইস্টবেঙ্গল যে বড় শাস্তি পেতে চলেছে তা এক প্রকার পরিস্কার। বয়স নিয়ে জালিয়াতি একেবারেই ভাল ভাবে দেখছে না ফেডারেশন। এর আগে বিভিন্ন সময় ফুটবলারদের পেমেন্ট নিয়ে নানা ঝামেলায় জড়িয়েছে ময়দানের বড় ক্লাবগুলি। তবে এভাবে বয়স ভাঁড়ানো বা আঁধার জালিয়াতির মতো অভিযোগ খুব বেশি সামনে আসেনি। এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি যেমন পেতে হচ্ছে ঠিক তেমনই বাংলার ফুটবল আরও একবার বিরাট লজ্জার মুখে পড়ল তা বলাই যায়।