একে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে হার, তার উপর আবার ডার্বি ম্যাচে চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে মাঝমাঠের স্তম্ভ সউল ক্রেসপোকে। তাঁর চোট এতটাই গুরতর যে তাঁকে স্পেনে নিয়ে হয়েছে। কবে তিনি মাঠে ফিরবেন তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
তবে এখনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বা এই মরসুমে তিনি আর খেলতে পারবেন না ব্যাপারটা এমন নয়। তবে এই মরসুমের সবচেয়ে ধারাবাহিক ফুটবলার চোট পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। শোনা যাচ্ছে ১৬ অথবা ১৭ ফেব্রুয়ারি চোট সারিয়ে কলকাতায় ফিরতে পারেন ক্রেসপো। তারপর তাঁর চোটের আরও একবার পরীক্ষা করা হবে। তা হলেই জানা যাবে সউলের চোট কতটা গুরুতর। তিনি আদৌ মাঠে নামতে পারবেন কিনা। তবে তিনি যদি মাঠে নামতে না পারেন তা হলে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
তবে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন কোনও ফুটবলার পেতেও সমস্যায় পড়তে হবে লাল-হলুদকে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে আবার কার্ড সমস্যায় নেই ক্যাপ্টেন ক্লেইটন সিলভা। তবে আশা ছাড়তে নারাজ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নরা। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে শক্তিশালী মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে বেশ চাপে ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে হারে ভীষণ ক্ষুব্ধ দলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ম্যাচের শুরুতেই দুটি ভুল ইস্টবেঙ্গলকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল করে ম্যাচে ফিরলেও, নর্থইস্টের তৃতীয় গোল সব শেষ করে দেয়। তারপর ব্যবধান কমলেও পয়েন্ট আসেনি। কার্লেস বলছেন, 'ম্যাচের শুরুতেই ওরকম ভুল যে-কোনও দলকে বিপদে ফেলে দেবে। তবে তৃতীয় গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আর যুব ফুটবলাররা বড় ম্যাচে ভুল করতেই পারে, আমাদের কিন্তু পাশে থাকতে হবে। ওরা ক্লাবের ভবিষ্যৎ। লালচুংনুঙ্গাও চেনা ফর্মে নেই। তবে আমি ফুটবলারদের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ। ৩ গোল হজম করলে পয়েন্ট পাওয়া যায় না।' তবে নতুন দুই বিদেশি কার্যত অনুশীলন ছাড়াই মাঠে নেমে যে পারফরমেন্স করেছেন তাতে সন্তুষ্ট ইস্টবেঙ্গল কোচ।