বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টাইন তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সামনে মুখ পুড়ল কলকাতার। চরম বিশৃঙ্খলা সামলাতে হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। ভাঙল তাঁর গাড়ির কাচও। মঙ্গলবার মিলনমেলায় এসেছিলেন এমি। তিনি এই অনুষ্ঠানে আসার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিশৃঙ্খলা।
সোমবার বিকেলে শহরে আসেন মার্টিনেজ
সোমবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখার পর থেকেই ফ্যানদের আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিমানবন্দরথেকে তাঁর বেরতেও কিছুটা সময় লেগে যায়। তারপর থেকেই যেখানে গিয়েছেন সেখানেই মানুষের ঢল। একবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টায় উন্মুখ জনতা। শুধু জনতা বললে ভুল হবে। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি ভারতের প্রাক্তন ফুটবলাররাও। মিলন মেলাতে প্রচুর মানুষ তাঁকে দেখতে চলে এসেছিলেন। দর্শকদের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। লিয়োনেল মেসির দলের ফুটবলারকে কাছ থেকে দেখতে মঞ্চে উঠে পড়েন এক ভক্তও। যদিও বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে জেতানো মার্তিনেসের কাছে পৌঁছতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০-২৫ মিনিট পরে মিলনমেলার অনুষ্ঠানে ঢোকেন মার্টিনেজ। সেই সময়ই উৎসুক জনতার চাপে ব্যারিকেড ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। বেশ কিছুটা সময় পর পুলিশ ঢুকে পরিস্থিতি কিছুটা সামলায়।
হুড়োহুড়ি পরে যায় প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যেও
এরপর প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে অলোক মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ নন্দী, হেমন্ত ডোরার মতো প্রাক্তন ফুটবলারেরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মার্টিনেজের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য মঞ্চে উঠে পড়েন। উদ্যোক্তাদের তরফে বার বার তাঁদের নামতে অনুরোধ করা হলেও তাঁরা তা কানেই তোলেননি। মঞ্চের সামনে হুড়োহুড়ি শুরু হতেই দেখা যায়, ব্যারিকেড টপকে কিছু ফ্যান ভেতরে ঢুকে পড়তে থাকেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে বেরিয়ে যান মার্টিনেজ। সেই সময়ও তাঁকে বিশৃঙ্খলার মুখে পড়তে হয়। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।
লোগো বিভ্রাট
মিলনমেলার অনুষ্ঠানে দুই বড় দলের কর্তারা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন, কিন্তু সেই সময় জায়েন্ট স্ক্রিনে দুই ক্লাবের যে লোগো দেখা গেল তা নিয়েই শুরু হল বিতর্ক। ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের সামনেই দেখা গেল জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের লোগো। দুই বছর আগেই শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে লাল-হলুদের। তবে কেন এই লোগো ব্যবহার করা হল? প্রশ্ন উঠেছে মোহনবাগানের লোগো নিয়েও। মোহনবাগানের নামের আগে থেকে উঠে গিয়েছে এটিকে। গতকালই মোহনবাগানের পক্ষ থেকে নতুন লোগো প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কেন ব্যবহার করা হল পুরনো লোগো? প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।