রাউন্ড অফ ১৬-এর ম্যাচে ইয়ান ভের্তঘেন আত্মঘাতী গোলে হেরে গেল বেলজিয়াম। কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল বিশ্বকাপে রানার্স হওয়া ফ্রান্স। গোটা ম্যাচে বল পজেশন বা আক্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপেরাই। তবে গোলের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। ৮৫ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় ফরাসিরা। এর ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল বনাম স্লোভানিয়ার ম্যাচে বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে এমবাপেদের। ফলে দেখা যেতে পারে দুই সেরার লড়াই।
ফ্রান্সের ঝাঁঝ বেশি থাকলেও, বেলজিয়ামও সুযোগ পেয়েছিল। তারাও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। গোল খাওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগেই ফ্রান্স গোল লক্ষ্য করে করেছিলেন বেলজিয়াম ক্যাপ্টেন কেভিন ডি ব্রুইন তবে ফরাসি গোলকিপার মাইক মাইগনান দারুণ সেভ করেন। প্রথমার্ধে খেলা মোটামুটি মিডফিল্ডের দখল নিয়েই টক্কর চলতে থাকে। চলতে থাকে চোরাগোপ্তা হাত পা চালাচালিও তার ২৫ মিনিটের মধ্যেই তিনটে হলুদ কার্ড দেখে ফেলেন ফ্রান্স ফুটবলাররা।
ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে ফাউলের সংখ্যা। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন না এড্রিয়েন রাবিয়োট। এটা বড় ধাক্কা দিদিয়ের দেশঁর পক্ষে। তবে ফ্রান্স দল যতটা শক্তিশালি, ততটা ভাল খেলতে পারেনি। তবে বলেই হয় কলো মুয়ানির কথা। প্রথম একাদশে ছিলেন না। তাঁকে পরে নামান দেশঁ। ২০২২ বিশ্বকাপে তাঁর শট দুই পা ছড়িয়ে আটকেই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে এবার সে কাজটা করতে পারলেন না বেলজিয়াম গোলকিপার কোয়েন ক্যাস্টিলস। আসলে তাঁর সতীর্থ ভের্তঘেনের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়।
অন্যদিকে প্রথমার্ধে একবার ডি ব্রুইনের ফ্রিকিক ফ্রান্স গোলকিপার মাইগনানের সামনে পড়ে। কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও, সামলে নিয়ে তা কিয়ার করেন। আসলে, তিনি ভেবেছিলেন, ভেতরদিকে ঢুকে আসা বল তাঁর দলের কোনও ডিফেন্ডার হেড করে ক্লিয়ার করবেন। তবে তা না হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েন তিনি। এছাড়া গোটা ম্যাচেই তেমন বলার মতো কিছু হয়নি।